ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপেল ডাক্তার তাড়ায়— কতটা সত্যি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এই কথাটি কতটুকু সত্য তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে।

 

আপেল সম্পর্কে প্রচলিত এই ধারণার পেছনে যুক্তি হচ্ছে—আপেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে, রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, আপেলের খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় তা বার্ধক্য প্রতিরোধ করে তারুণ্য ধরে রাখে।

আপেলের রয়েছে আরো কিছু গুণাগুণ। এই যেমন আপেল দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, হজমশক্তি বাড়ায়, জ্বর-কফ কমায়। তবে আপেলের কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। আপেল অ্যাসিডিক হওয়ায় এটি বেশি খেলে দাঁতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরেকটি বিষয়, আপেলের বীজে রয়েছে ক্ষতিকর সায়ানাইড।

চিকিত্সকদের মতে, সুষম খাবার না খেলে যেমন শরীরে পুষ্টির অভাব হবে সেই সঙ্গে নানা ধরনের রোগ-বালাইও ঘিরে ধরবে। এছাড়া সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চলতে হবে। তা না হলে প্রতিদিন একটি আপেল খেলেও সুস্থ থাকার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিদিন যে কোনো ধরনের একটি ফল খেলেই প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার মতো উপকারিতা পাওয়া যাবে।

প্রতিদিন একটি আপেলের মতো আরো কিছু ধারণা প্রচলিত যেমন— গাজর খেলে রাতকানা রোগ ভালো হয়। কিন্তু চিকিত্সকদের মতে, নিয়মিত গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। গাজর বেটা ক্যারোটিনের উত্তম উত্স। যা কি না শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’ যোগান দেয়। কিন্তু গাজর থেকে পাওয়া এই ভিটামিন ‘এ’ যে কারো রাতকানা রোগ পুরোপুরি বন্ধ হবে এই নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।-ডেইল মেইল

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

আপেল ডাক্তার তাড়ায়— কতটা সত্যি?

আপডেট সময় ০৯:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
লাইফস্টাইল ডেস্ক:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এই কথাটি কতটুকু সত্য তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে।

 

আপেল সম্পর্কে প্রচলিত এই ধারণার পেছনে যুক্তি হচ্ছে—আপেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে, রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, আপেলের খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় তা বার্ধক্য প্রতিরোধ করে তারুণ্য ধরে রাখে।

আপেলের রয়েছে আরো কিছু গুণাগুণ। এই যেমন আপেল দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, হজমশক্তি বাড়ায়, জ্বর-কফ কমায়। তবে আপেলের কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। আপেল অ্যাসিডিক হওয়ায় এটি বেশি খেলে দাঁতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরেকটি বিষয়, আপেলের বীজে রয়েছে ক্ষতিকর সায়ানাইড।

চিকিত্সকদের মতে, সুষম খাবার না খেলে যেমন শরীরে পুষ্টির অভাব হবে সেই সঙ্গে নানা ধরনের রোগ-বালাইও ঘিরে ধরবে। এছাড়া সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চলতে হবে। তা না হলে প্রতিদিন একটি আপেল খেলেও সুস্থ থাকার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিদিন যে কোনো ধরনের একটি ফল খেলেই প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার মতো উপকারিতা পাওয়া যাবে।

প্রতিদিন একটি আপেলের মতো আরো কিছু ধারণা প্রচলিত যেমন— গাজর খেলে রাতকানা রোগ ভালো হয়। কিন্তু চিকিত্সকদের মতে, নিয়মিত গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। গাজর বেটা ক্যারোটিনের উত্তম উত্স। যা কি না শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’ যোগান দেয়। কিন্তু গাজর থেকে পাওয়া এই ভিটামিন ‘এ’ যে কারো রাতকানা রোগ পুরোপুরি বন্ধ হবে এই নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।-ডেইল মেইল