ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ধনীরামপুরের মাঠা

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি

.দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের ধনীরাপুরের মাঠা। এটি একসময় শুধু পুরান ঢাকায় জনপ্রিয় ছিল। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার সুস্বাদু ছানা-মাঠার জন্য এখনো বিখ্যাত। তবে গত ৩ বছরে এটি মুরাদনগর সদরের ধনীরামপুর বাজারের সেলিম রেজা, সবির আহম্মেদ ও আল আমিনের দোকানের মাঠা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশে রপ্তানি না হলেও লোকের মাধ্যমে এটি মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধনীরামপুরের মাঠা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনই বিভিন্ন উপজেলার লোকজন মাঠা খেতে আসেন এখানে। অনেকেই গাড়ি করে এসে সাথে করে নিয়ে যায় এ মাঠা। এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়ার উপযোগী থাকে। মাঠা তৈরির জন্য প্রয়োজন হয়, দুধ, চিনি, পোস্তবাদাম বাটা, লবণ ও বরফ কুচি। প্রথমে পরিমাণমতো দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে ডাল ঘুঁটনি দিয়ে ভালো করে ঘুঁটে ওপর থেকে ক্রিম উঠিয়ে নিতে হবে। সব ক্রিম বা ননি ওঠানো হয়ে গেলে যেই দুধ থাকবে সেটাই হলো ঘোল। এবার ঘোলে পরিমাণমতো চিনি, পোস্তবাদাম বাটা ও লবণ দিয়ে বে¬ন্ডারে ভালো করে বে¬ন্ড করে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। সাথে লেবু, টেস্টিং সল্ট ইত্যাদি দেয়া হয়ে থাকে।

পুষ্টিবিদরা বলেছেন শরীর সতেজ রাখতে মাঠা অন্যতম পানীয়; বিশেষ করে রোজাদাররা ইফতারে এ রকম পানীয় রাখলে সারা দিনের ঘাটতি পূরণে বেশ সহায়ক হয়। এ ছাড়া নিয়মিত মাঠা পান করলে শরীর সতেজ এবং চর্বিমুক্ত রাখতে অনেকটা ভূমিকা রাখে। দুধে প্রোটিনের উপস্থিতির জন্য যারা দুধ খেতে পারে না, দুধের বদলে মাঠা তাদের জন্য উপযুক্ত পানীয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ধনীরামপুরের মাঠা

আপডেট সময় ০৪:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি

.দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের ধনীরাপুরের মাঠা। এটি একসময় শুধু পুরান ঢাকায় জনপ্রিয় ছিল। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার সুস্বাদু ছানা-মাঠার জন্য এখনো বিখ্যাত। তবে গত ৩ বছরে এটি মুরাদনগর সদরের ধনীরামপুর বাজারের সেলিম রেজা, সবির আহম্মেদ ও আল আমিনের দোকানের মাঠা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশে রপ্তানি না হলেও লোকের মাধ্যমে এটি মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধনীরামপুরের মাঠা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনই বিভিন্ন উপজেলার লোকজন মাঠা খেতে আসেন এখানে। অনেকেই গাড়ি করে এসে সাথে করে নিয়ে যায় এ মাঠা। এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়ার উপযোগী থাকে। মাঠা তৈরির জন্য প্রয়োজন হয়, দুধ, চিনি, পোস্তবাদাম বাটা, লবণ ও বরফ কুচি। প্রথমে পরিমাণমতো দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে ডাল ঘুঁটনি দিয়ে ভালো করে ঘুঁটে ওপর থেকে ক্রিম উঠিয়ে নিতে হবে। সব ক্রিম বা ননি ওঠানো হয়ে গেলে যেই দুধ থাকবে সেটাই হলো ঘোল। এবার ঘোলে পরিমাণমতো চিনি, পোস্তবাদাম বাটা ও লবণ দিয়ে বে¬ন্ডারে ভালো করে বে¬ন্ড করে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। সাথে লেবু, টেস্টিং সল্ট ইত্যাদি দেয়া হয়ে থাকে।

পুষ্টিবিদরা বলেছেন শরীর সতেজ রাখতে মাঠা অন্যতম পানীয়; বিশেষ করে রোজাদাররা ইফতারে এ রকম পানীয় রাখলে সারা দিনের ঘাটতি পূরণে বেশ সহায়ক হয়। এ ছাড়া নিয়মিত মাঠা পান করলে শরীর সতেজ এবং চর্বিমুক্ত রাখতে অনেকটা ভূমিকা রাখে। দুধে প্রোটিনের উপস্থিতির জন্য যারা দুধ খেতে পারে না, দুধের বদলে মাঠা তাদের জন্য উপযুক্ত পানীয়।