শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দুই সন্তানের জননী নার্গিস আক্তারকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, আবু কাউছার, হারুন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, আক্কাস মিয়া ও মায়া বেগমসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তাগন অভিযোগ করেন, যাত্রাপুর গ্রামের আব্বাস মিয়ার কন্যা নার্গিস আক্তারের সাথে বিগত ৪ বছর পূর্বে পাশ^বর্তী হোমনা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে ইউনুছ মিয়ার সামাজিক ভাবে দুইলক্ষ টাকা দেন-মোহরে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে নার্গিস আক্তারের ভাসুর আবুল কাশেম ও জা পাপিয়া বেগম বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে রাখতো। ওই সময় নার্গিস আক্তারকে প্রাণে মেরে ফেলার একাধিকবার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
তারই জের ধরে গত ঈদুল ফিতরের দিন ভাসুর আবুল কাশেম, জা পাপিয়া বেগম, শাশুরি রেজিয়া বেগম ও সেফালী আক্তার মিলে নার্গিস আক্তারকে ডেকে বাড়ীর ছাদে ডেকে নিয়ে বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়। তখন তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক নার্গিস আক্তারকে কুমেক হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উক্ত ঘটনায় নার্গিস আক্তারের বাবা আব্বাস মিয়া বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ৪নং আমলী আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট দীর্ঘ শুনানী শেষে হোমনা থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নিতে নার্গিস আক্তারের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।