ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সায়েন্সল্যাবে পুলিশের ওপর হামলার দায় নিল আইএস

জাতীয় ডেস্ক:

রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)।

শনিবার মধ্যরাতে জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্সে আইএস দাবি করে এই হামলা চালিয়েছে তাদের অনুসারীরা।

 

সাইট ইন্টেলিজেন্স জানায়, ঢাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে অত্যাধুনিক আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আইএস। এতে দুই পুলিশ আহত হয়েছে।

সাইট ইন্টেলিজেন্সে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে আইএস জানায়, ‘১৪৪১ হিজরির ১ মুহাররম খিলাফতের এক সেনা দুই জন পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এতে তারা অনেক আহত হয়। আমরা আল্লাহর কাছে তাদের ধ্বংস প্রার্থনা করি।’

শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর রোডের সাইন্সল্যাব মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বত্তরা। এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়িবহরে থাকা নিরাপত্তা অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাবুদ্দিন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাজুল ইসলাম এ সময় গাড়িতে থাকলেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি।

ইসলাম ধর্মের নামে বেসামরিক মানুষ হত্যা করে কুখ্যাতি অর্জন করা জঙ্গি সংগঠন আইএস মধ্যপ্রাচ্যেই নির্মূল হওয়ার পথে। তাদের মূল সদস্যদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নেই বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। বাংলাদেশে তবে, সরকারকে চাপে ফেলতে তাদের অনলাইন অনুসারীরা এসব হামলা করে থাকে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে একটি ট্রাফিক বক্সের পাশে হাতে তৈরি বোমা বা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য ও একজন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ঠিক ২৮ দিন পর গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের পলওয়েল ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার একটি পিক-আপভ্যানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতেও ট্রাফিক পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার, লাল মিয়া নামে একজন রিকশাচালক ও শাহনাজ শারমিন নামে এক পথচারী আহত হন। এছাড়া ২৩ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন ও খামাড়বাড়ি পুলিশ বক্সের কাছে ফেলে রাখা বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনার পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

হামলার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ধারণা করছি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের পুলিশ বক্সকে টার্গেট করেই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশই মূল টার্গেট বলে মনে হচ্ছে।

তবে পুলিশ কেন বার বার হামলার শিকার হচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজানের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিয়েছে, সে কারণেই পুলিশ টার্গেট হতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

সায়েন্সল্যাবে পুলিশের ওপর হামলার দায় নিল আইএস

আপডেট সময় ০১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)।

শনিবার মধ্যরাতে জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্সে আইএস দাবি করে এই হামলা চালিয়েছে তাদের অনুসারীরা।

 

সাইট ইন্টেলিজেন্স জানায়, ঢাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে অত্যাধুনিক আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আইএস। এতে দুই পুলিশ আহত হয়েছে।

সাইট ইন্টেলিজেন্সে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে আইএস জানায়, ‘১৪৪১ হিজরির ১ মুহাররম খিলাফতের এক সেনা দুই জন পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এতে তারা অনেক আহত হয়। আমরা আল্লাহর কাছে তাদের ধ্বংস প্রার্থনা করি।’

শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর রোডের সাইন্সল্যাব মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বত্তরা। এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়িবহরে থাকা নিরাপত্তা অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাবুদ্দিন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাজুল ইসলাম এ সময় গাড়িতে থাকলেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি।

ইসলাম ধর্মের নামে বেসামরিক মানুষ হত্যা করে কুখ্যাতি অর্জন করা জঙ্গি সংগঠন আইএস মধ্যপ্রাচ্যেই নির্মূল হওয়ার পথে। তাদের মূল সদস্যদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নেই বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। বাংলাদেশে তবে, সরকারকে চাপে ফেলতে তাদের অনলাইন অনুসারীরা এসব হামলা করে থাকে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে একটি ট্রাফিক বক্সের পাশে হাতে তৈরি বোমা বা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য ও একজন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ঠিক ২৮ দিন পর গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের পলওয়েল ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার একটি পিক-আপভ্যানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতেও ট্রাফিক পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার, লাল মিয়া নামে একজন রিকশাচালক ও শাহনাজ শারমিন নামে এক পথচারী আহত হন। এছাড়া ২৩ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন ও খামাড়বাড়ি পুলিশ বক্সের কাছে ফেলে রাখা বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনার পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

হামলার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ধারণা করছি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের পুলিশ বক্সকে টার্গেট করেই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশই মূল টার্গেট বলে মনে হচ্ছে।

তবে পুলিশ কেন বার বার হামলার শিকার হচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজানের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রুখে দিয়েছে, সে কারণেই পুলিশ টার্গেট হতে পারে।