ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যাসিডিটি হলেই ওষুধ নয়

 স্বাস্থ্য:

অম্লতা বা অ্যাসিডিটি মানুষের জন্য সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিত এই সমস্যার মোকাবেলা করেন। অ্যাসিডিটির সামান্য লক্ষণ হরহামেশাই দেখা যায়। অনেকেই পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, গ্যাসের সমস্যা থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু অ্যাসিডিটির ওষুধ শুধুমাত্র কিছুক্ষণের জন্যই উপসর্গগুলো কমাতে পারে এবং অম্লতা থেকে অস্থায়ী মুক্তি দিতে পারে।

অম্লতা হলো শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা। খাবারের পাচনের জন্য শরীরের অ্যাসিডের প্রয়োজন হলেও এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গ্যাস, অম্লতা, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং আরও অনেক সমস্যাই দেখা যায়।

 

বিভিন্ন কারণেই অম্লতা হতে পারে। খাওয়ার ভুল অভ্যাস, মশলাযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব, চাপ এবং শরীরে জলের অভাব এর কিছু সাধারণ কারণ।

অ্যাসিডিটির সমস্যা ওষুধ ছাড়াই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। এজন্য দরকার একটু সচেতনতা এবং নিজের শরীরের যতœ নেওয়া। এছাড়া নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে কিছু কার্যকর টিপস মেনে চললে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য কোনো ওষুধের দরকার পড়বে না।

অম্লতা, পেট ফাঁপা এবং অন্য উপসর্গগুলো হ্রাস করার জন্য কয়েকটি সহজ এবং ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে তেমনই কয়েকটি ঘরোয়া টিপস নিচে দেওয়া হলো-

খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান

আপনি কি জানেন যে, হজমের প্রক্রিয়া শুরু হয় মুখের মধ্যে থেকেই। সুতরাং সঠিক হজমের জন্য খাদ্য সঠিকভাবে চিবানো গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খাদ্য চিবানো না হলে মুখের মধ্যে উৎসেচকের কাজ কমে যেতে পারে। যার ফলে অম্লতার সমস্যা হতে পারে। খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে অ্যাসিডিটি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দৈনিক এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ

ঠান্ডা দুধ অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করার একটি চমৎকার উপায়। দুধ প্রকৃতিতে ক্ষারীয় এবং এভাবেই তা পেটের মধ্যে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া শরীরে শক্তি জোগাতে এবং চেহারা সুন্দর রাখতে দুধ অত্যন্ত কার্যকর।

জোয়ান খান

বাবা-মা এবং দাদা-দাদিদের আমলের আগে থেকেই পেটের পীড়ার জন্য জোয়ান খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। অনেক চিকিৎসকও এটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যখনই গ্যাস, অম্লতা বা পেট ফাঁপার সমস্যা অনুভব করবেন এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ জোয়ান দিয়ে ফুটিয়ে নিন, তারপর ছেঁকে নিন, একটু লেবু, সামান্য নুন দিয়ে খেয়ে ফেলুন। জোওয়ানের অ্যান্টি অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য অম্লতা এবং এর লক্ষণগুলো কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করে।

পুদিনা বাটার মিল্ক

পেটের অ্যাসিড হ্রাস করার জন্য মিন্ট ছাঁচ বা বাটারমিল্ক আরেকটি চমৎকার প্রতিকার। পুদিনা চমৎকারভাবে অ্যাসিড কমিয়ে ফেলে। অ্যাসিডিটির সামান্যতম সমস্যা দেখা দিলেও আপনি এটি পান করতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করার পাশাপাশি এটি পেট পরিষ্কার রাখতেও অসম্ভব ভালো কাজ করে।

উপরোক্ত প্রতিকারগুলোর পাশাপাশি সুস্থ থাকা, প্রাকৃতিক এবং ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াও অম্লতা কমাতে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া অ্যাসিডিটির জন্য নিয়মিত ওষুধ খেলে সমস্যা রিবাইন্ড হতে পারে। এটি আপনার সারা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকেও প্রভাবিত করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

অ্যাসিডিটি হলেই ওষুধ নয়

আপডেট সময় ০৪:০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
 স্বাস্থ্য:

অম্লতা বা অ্যাসিডিটি মানুষের জন্য সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিত এই সমস্যার মোকাবেলা করেন। অ্যাসিডিটির সামান্য লক্ষণ হরহামেশাই দেখা যায়। অনেকেই পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, গ্যাসের সমস্যা থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু অ্যাসিডিটির ওষুধ শুধুমাত্র কিছুক্ষণের জন্যই উপসর্গগুলো কমাতে পারে এবং অম্লতা থেকে অস্থায়ী মুক্তি দিতে পারে।

অম্লতা হলো শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা। খাবারের পাচনের জন্য শরীরের অ্যাসিডের প্রয়োজন হলেও এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গ্যাস, অম্লতা, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং আরও অনেক সমস্যাই দেখা যায়।

 

বিভিন্ন কারণেই অম্লতা হতে পারে। খাওয়ার ভুল অভ্যাস, মশলাযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব, চাপ এবং শরীরে জলের অভাব এর কিছু সাধারণ কারণ।

অ্যাসিডিটির সমস্যা ওষুধ ছাড়াই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। এজন্য দরকার একটু সচেতনতা এবং নিজের শরীরের যতœ নেওয়া। এছাড়া নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে কিছু কার্যকর টিপস মেনে চললে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য কোনো ওষুধের দরকার পড়বে না।

অম্লতা, পেট ফাঁপা এবং অন্য উপসর্গগুলো হ্রাস করার জন্য কয়েকটি সহজ এবং ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে তেমনই কয়েকটি ঘরোয়া টিপস নিচে দেওয়া হলো-

খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান

আপনি কি জানেন যে, হজমের প্রক্রিয়া শুরু হয় মুখের মধ্যে থেকেই। সুতরাং সঠিক হজমের জন্য খাদ্য সঠিকভাবে চিবানো গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খাদ্য চিবানো না হলে মুখের মধ্যে উৎসেচকের কাজ কমে যেতে পারে। যার ফলে অম্লতার সমস্যা হতে পারে। খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে অ্যাসিডিটি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দৈনিক এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ

ঠান্ডা দুধ অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করার একটি চমৎকার উপায়। দুধ প্রকৃতিতে ক্ষারীয় এবং এভাবেই তা পেটের মধ্যে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া শরীরে শক্তি জোগাতে এবং চেহারা সুন্দর রাখতে দুধ অত্যন্ত কার্যকর।

জোয়ান খান

বাবা-মা এবং দাদা-দাদিদের আমলের আগে থেকেই পেটের পীড়ার জন্য জোয়ান খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। অনেক চিকিৎসকও এটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যখনই গ্যাস, অম্লতা বা পেট ফাঁপার সমস্যা অনুভব করবেন এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ জোয়ান দিয়ে ফুটিয়ে নিন, তারপর ছেঁকে নিন, একটু লেবু, সামান্য নুন দিয়ে খেয়ে ফেলুন। জোওয়ানের অ্যান্টি অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য অম্লতা এবং এর লক্ষণগুলো কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করে।

পুদিনা বাটার মিল্ক

পেটের অ্যাসিড হ্রাস করার জন্য মিন্ট ছাঁচ বা বাটারমিল্ক আরেকটি চমৎকার প্রতিকার। পুদিনা চমৎকারভাবে অ্যাসিড কমিয়ে ফেলে। অ্যাসিডিটির সামান্যতম সমস্যা দেখা দিলেও আপনি এটি পান করতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করার পাশাপাশি এটি পেট পরিষ্কার রাখতেও অসম্ভব ভালো কাজ করে।

উপরোক্ত প্রতিকারগুলোর পাশাপাশি সুস্থ থাকা, প্রাকৃতিক এবং ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াও অম্লতা কমাতে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া অ্যাসিডিটির জন্য নিয়মিত ওষুধ খেলে সমস্যা রিবাইন্ড হতে পারে। এটি আপনার সারা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকেও প্রভাবিত করে।