ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যান পদ নিয়ে জাতীয় পার্টিতে উত্তেজনায় রওশন ও কাদেরের পাল্টাপাল্টি সংবাদ

জাতীয় ডেস্ক:

দলের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে জাতীয় পার্টিতে। বৃহস্পতিবার গুলশানে রওশন এরশাদের বাসভবন ও বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের। একদিকে রওশনকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অন্যদিকে রওশন এরশাদকে যারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে রওশনের বাসভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিল করে গণতান্ত্রিক উপায়ে স্থায়ী চেয়ারম্যান ঠিক করব।’

জিএম কাদের জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ভেঙে চেয়ারম্যান হয়েছেন অভিযোগ করে আনিসুল বলেন, ‘জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের সম্মান দেবেন রওশন এরশাদ। তিনি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিল করে গণতান্ত্রিক উপায়ে স্থায়ী চেয়ারম্যান ঠিক করব। রওশন এরশাদকে যারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর পর একইদিন বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণার বিষয়ে জি এম কাদের বলেছেন, ‘পার্টির নিয়মের বাইরে কেউ কাউকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারে না। যে কেউ একজন ঘোষণা করলেই তা হবে না। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই আমি দায়িত্ব পালন করছি।’

এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘একটি সংবাদ সম্মেলনের খবর শুনেছি। জাতীয় পার্টি ভাঙনের মুখে পড়েনি। কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরশাদ সাহেব জীবিত থাকা অবস্থায় যেভাবে বোর্ড গঠন করেছিলেন, সেভাবেই করা হয়েছে। শুধু একজন সদস্য নিজে থেকে সরে যেতে চাইলে তার স্থানে কাজী ফিরোজ রশীদকে যুক্ত করেছি। জাতীয় নির্বাচন ও একটি উপনির্বাচনে একই বোর্ড নাও হতে পারে। এখানে আঞ্চলিকতার প্রাধান্য থাকতেই পারে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরের ৭ শহীদ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহার পাঠালেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ

চেয়ারম্যান পদ নিয়ে জাতীয় পার্টিতে উত্তেজনায় রওশন ও কাদেরের পাল্টাপাল্টি সংবাদ

আপডেট সময় ০৩:০৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জাতীয় ডেস্ক:

দলের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে জাতীয় পার্টিতে। বৃহস্পতিবার গুলশানে রওশন এরশাদের বাসভবন ও বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের। একদিকে রওশনকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অন্যদিকে রওশন এরশাদকে যারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে রওশনের বাসভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিল করে গণতান্ত্রিক উপায়ে স্থায়ী চেয়ারম্যান ঠিক করব।’

জিএম কাদের জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ভেঙে চেয়ারম্যান হয়েছেন অভিযোগ করে আনিসুল বলেন, ‘জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের সম্মান দেবেন রওশন এরশাদ। তিনি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিল করে গণতান্ত্রিক উপায়ে স্থায়ী চেয়ারম্যান ঠিক করব। রওশন এরশাদকে যারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর পর একইদিন বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণার বিষয়ে জি এম কাদের বলেছেন, ‘পার্টির নিয়মের বাইরে কেউ কাউকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারে না। যে কেউ একজন ঘোষণা করলেই তা হবে না। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই আমি দায়িত্ব পালন করছি।’

এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘একটি সংবাদ সম্মেলনের খবর শুনেছি। জাতীয় পার্টি ভাঙনের মুখে পড়েনি। কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরশাদ সাহেব জীবিত থাকা অবস্থায় যেভাবে বোর্ড গঠন করেছিলেন, সেভাবেই করা হয়েছে। শুধু একজন সদস্য নিজে থেকে সরে যেতে চাইলে তার স্থানে কাজী ফিরোজ রশীদকে যুক্ত করেছি। জাতীয় নির্বাচন ও একটি উপনির্বাচনে একই বোর্ড নাও হতে পারে। এখানে আঞ্চলিকতার প্রাধান্য থাকতেই পারে।’