ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের হামলায় ইরানিপন্থী ১৭ বিদ্রোহী নিহত

আন্তর্জাতিক:

সিরিয়ার পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানপন্থী ১৭ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার শেষরাতের দিকে ইরাক সীমান্তের কাছে ইউফ্রেটিস ভ্যালিতে এই ঘটনা ঘটে। ভ্যালির আলবু কামালে ইরানি রেভ্যুলিউশনারি গার্ড ও ইরাকি বিদ্রোহীদের একটি জোটের তিনটি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামক সংস্থার বরাত দিয়ে থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দ্য সিরিয়ান অবজারভার ও দ্য জেরুজালেম পোস্ট। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, নিহত ১৭ জন বিদ্রোহীর মধ্যে ১০ জনই ইরাকি সেনা ছিল।

গত সপ্তাহে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করার পর থেকেই মার্কিন শক্তির সঙ্গে ইরানি শক্তির দ্বন্দ্ব-সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ ঘটনার পর দুপক্ষে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার পশ্চিমতীরে এটি দ্বিতীয় হামলা। মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্যমতে, ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি বিমানহামলায় ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। হামলাগুলোর জন্য সোদি-ইজরায়েল জোটকে দায়ী করে লেবাননভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

গত বছরের জুনে ইরাক সীমান্তের কাছে এরকমই আরেকটি হামলায় ৫৫ জন নিহত হয়।নিহতদের ছিল বেশিরভাগই সিরিয়ান ও ইরাকি।

ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তারা তেহরান থেকে দামেস্কাস পর্যন্ত যে ‘শিয়া করিডোর’ আছে যে কোন মূল্যে তা বন্ধ করতে চান। ইজরায়েলি বাহিনীর তথ্যানুযায়ী, ইরান প্রতিবছর সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পেছনে ১০-১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে। অথচ, রাষ্ট্রের নাগরিকদের উন্নয়নে খরচ হয় ৮ বিলিয়ন ডলার।

আট বছর ধরে চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ মিলিয়ন সিরিয়ান দেশছাড়া হয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ইরানপন্থী শক্তির প্রায় ৭০টিরও বেশি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

ইসরায়েলের হামলায় ইরানিপন্থী ১৭ বিদ্রোহী নিহত

আপডেট সময় ০৩:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আন্তর্জাতিক:

সিরিয়ার পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানপন্থী ১৭ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার শেষরাতের দিকে ইরাক সীমান্তের কাছে ইউফ্রেটিস ভ্যালিতে এই ঘটনা ঘটে। ভ্যালির আলবু কামালে ইরানি রেভ্যুলিউশনারি গার্ড ও ইরাকি বিদ্রোহীদের একটি জোটের তিনটি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামক সংস্থার বরাত দিয়ে থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দ্য সিরিয়ান অবজারভার ও দ্য জেরুজালেম পোস্ট। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, নিহত ১৭ জন বিদ্রোহীর মধ্যে ১০ জনই ইরাকি সেনা ছিল।

গত সপ্তাহে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করার পর থেকেই মার্কিন শক্তির সঙ্গে ইরানি শক্তির দ্বন্দ্ব-সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ ঘটনার পর দুপক্ষে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার পশ্চিমতীরে এটি দ্বিতীয় হামলা। মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্যমতে, ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি বিমানহামলায় ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। হামলাগুলোর জন্য সোদি-ইজরায়েল জোটকে দায়ী করে লেবাননভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

গত বছরের জুনে ইরাক সীমান্তের কাছে এরকমই আরেকটি হামলায় ৫৫ জন নিহত হয়।নিহতদের ছিল বেশিরভাগই সিরিয়ান ও ইরাকি।

ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তারা তেহরান থেকে দামেস্কাস পর্যন্ত যে ‘শিয়া করিডোর’ আছে যে কোন মূল্যে তা বন্ধ করতে চান। ইজরায়েলি বাহিনীর তথ্যানুযায়ী, ইরান প্রতিবছর সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পেছনে ১০-১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে। অথচ, রাষ্ট্রের নাগরিকদের উন্নয়নে খরচ হয় ৮ বিলিয়ন ডলার।

আট বছর ধরে চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ মিলিয়ন সিরিয়ান দেশছাড়া হয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ইরানপন্থী শক্তির প্রায় ৭০টিরও বেশি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে।