ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গান্ধিজীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে অভিজাত বেশে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়:

মহাত্মা গান্ধির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার নিউইয়র্কে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘সমসাময়িক পৃথিবীতে মহাত্মা গান্ধির প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবুজ পাড়ের পদ্মখচিত অফ-হোয়াইট শাড়িতে দারুণ অভিজাত লাগছিলো তাঁকে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে গাঢ় সবুজ ফুল-স্লিভ ব্লাউজ, তার উচ্চ রুচিশীলতারই পরিচয় জানান দিচ্ছিলো যেন।

প্রধানমন্ত্রীর মহিমাকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছিলো তার গলার এক সেট মুক্তোর মালা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন-জায়-ইন প্রমুখ। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানের সবটুকু আলো যেন একাই কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অবিসংবাদিত নেতার প্রভাব বিষয়ে তার সুচিন্ত্য বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধি মানুষকে ভালবেসে যে অহিংস আন্দোলনের মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা-ই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলো।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘গান্ধিজী জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষ নিজেই নিজের নিয়ন্তা। সহনশীলতা, অহিংসা ও মিলেমিশে বাস করার যে আদর্শ তিনি ধারণ করতেন, সেটাই আমাদের নতুন এক রাষ্ট্র গঠনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। পুরো পৃথিবীর যেখানেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়, সেখানেই তার ছড়িয়ে দেয়া বহুমতবাদের প্রতি শ্রদ্ধার আদর্শের জয়জয়কার।’

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা মিলে ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুত প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটির নাম রাখা হয়, ‘গান্ধি সোলার পার্ক’। এছাড়া একটি স্মারক ডাকটিকিটও চালু করা হয় অনুষ্ঠানে।

এএনআই

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন লাশ গুম

গান্ধিজীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে অভিজাত বেশে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জাতীয়:

মহাত্মা গান্ধির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার নিউইয়র্কে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘সমসাময়িক পৃথিবীতে মহাত্মা গান্ধির প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবুজ পাড়ের পদ্মখচিত অফ-হোয়াইট শাড়িতে দারুণ অভিজাত লাগছিলো তাঁকে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে গাঢ় সবুজ ফুল-স্লিভ ব্লাউজ, তার উচ্চ রুচিশীলতারই পরিচয় জানান দিচ্ছিলো যেন।

প্রধানমন্ত্রীর মহিমাকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছিলো তার গলার এক সেট মুক্তোর মালা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন-জায়-ইন প্রমুখ। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানের সবটুকু আলো যেন একাই কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অবিসংবাদিত নেতার প্রভাব বিষয়ে তার সুচিন্ত্য বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধি মানুষকে ভালবেসে যে অহিংস আন্দোলনের মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা-ই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলো।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘গান্ধিজী জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষ নিজেই নিজের নিয়ন্তা। সহনশীলতা, অহিংসা ও মিলেমিশে বাস করার যে আদর্শ তিনি ধারণ করতেন, সেটাই আমাদের নতুন এক রাষ্ট্র গঠনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। পুরো পৃথিবীর যেখানেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়, সেখানেই তার ছড়িয়ে দেয়া বহুমতবাদের প্রতি শ্রদ্ধার আদর্শের জয়জয়কার।’

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা মিলে ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুত প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটির নাম রাখা হয়, ‘গান্ধি সোলার পার্ক’। এছাড়া একটি স্মারক ডাকটিকিটও চালু করা হয় অনুষ্ঠানে।

এএনআই