আন্তর্জাতিক:
ভারতের কেরালার মলপ্পুরমে ১২ বছরের এক শিশুকে দিয়ে দেহব্যবসা করাতো তার বাবা। গত দুই বছরে অন্তত ৩০ ব্যক্তির সঙ্গে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হয় ওই শিশু। গত শনিবার স্থানীয় পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে। সে বাড়ি থেকে চলে গেলে পরিবারের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে, এ চিন্তা থেকে সে তার ছোট হাতে কাঠের দরজায় ‘সরি আম্মা’ লিখে যায়।
জানা গেছে, বাবা-মাসহ ওই শিশু দুই রুমের একটি ছোট কাঠের বাড়িতে থাকত। এক ঘরে তার বাবা-মা, অন্যঘরে ওই শিশু ছিল। যখনই টাকার প্রয়োজন হতো, তার বাবা মেয়ের রুমে মানুষ পাঠাত। এভাবেই টানা দুই বছর তার ওপর নির্যাতন চলে।
সম্প্রতি, ওই শিশুর এক সহপাঠীর মাধ্যমে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। মাঝে মাঝেই ওই শিশু বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকতো। তাছাড়া, তার আচরণও অস্বাভাবিক ছিল। এ কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চাইল্ডলাইন কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। তারা ওই শিশুকে কাউন্সিলিং করাতে গিয়ে এসব জানতে পারে। শিশুর কাছ থেকে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা শুনে সবাই বিস্মিত হয়ে যায়।
স্থানীয় পুলিশ মেয়েটির বাবাসহ তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, শিশুটির বাড়িতে যে খারাপ কিছু ঘটে, তা অনেক প্রতিবেশী জানত। তাছাড়া, প্রায় রাতেই তারা শিশুটির কান্না শুনতে পেতো। রাত হলেই অপরিচিত মানুষদের ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখতো। কিন্তু ভয়ে কেউ পুলিশকে এই বিষয়টি জানায়নি। প্রতিবেশীরা জানালে অনেক আগেই ওই শিশুকে উদ্ধার করা যেতো বলেও জানায় পুলিশ।