ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালিদের পালাতে সহায়তা, দুই পুলিশ বরখাস্ত

জাতীয়:

রাজধানীর একটি ক্যাসিনোতে র‌্যাবের অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এরপরই জানা যায়, এসব ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করেন যুবলীগের বিভিন্ন নেতা এবং ক্যাসিনো পরিচালনায় কাজ করতেন বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকরা।

ওই রাতেই সেগুনবাগিচার একটি ভবনের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাসিনোতে অভিযান চলাকালে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিদেশি নাগরিক ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাদের বের হওয়ার আগে ওই ভবনে কয়েকজন প্রবেশ করেন, যাদের একজনের হাতে ওয়াকিটকি ছিল।

এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযোগ ওঠে, ক্যাসিনোতে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিদেশিদের পালাতে সাহায্য করেছে পুলিশ। ভিডিও দেখে অনেকে এদের একজনকে রমনা থানার কনস্টেবল দীপঙ্কর চাকমা ও অন্যজনকে এএসআই গোলাম হোসেন মিঠু বলে শনাক্তও করেছিলেন। তবে গত মঙ্গলবার পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘তারা যে পুলিশ সদস্য, এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

এর দুইদিন পরই অভিযানে অংশ নেওয়া দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই পুলিশ সদস্যের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন লাশ গুম

নেপালিদের পালাতে সহায়তা, দুই পুলিশ বরখাস্ত

আপডেট সময় ০৩:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জাতীয়:

রাজধানীর একটি ক্যাসিনোতে র‌্যাবের অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এরপরই জানা যায়, এসব ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করেন যুবলীগের বিভিন্ন নেতা এবং ক্যাসিনো পরিচালনায় কাজ করতেন বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকরা।

ওই রাতেই সেগুনবাগিচার একটি ভবনের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাসিনোতে অভিযান চলাকালে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিদেশি নাগরিক ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাদের বের হওয়ার আগে ওই ভবনে কয়েকজন প্রবেশ করেন, যাদের একজনের হাতে ওয়াকিটকি ছিল।

এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযোগ ওঠে, ক্যাসিনোতে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিদেশিদের পালাতে সাহায্য করেছে পুলিশ। ভিডিও দেখে অনেকে এদের একজনকে রমনা থানার কনস্টেবল দীপঙ্কর চাকমা ও অন্যজনকে এএসআই গোলাম হোসেন মিঠু বলে শনাক্তও করেছিলেন। তবে গত মঙ্গলবার পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘তারা যে পুলিশ সদস্য, এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

এর দুইদিন পরই অভিযানে অংশ নেওয়া দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই পুলিশ সদস্যের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে।’