মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) খেকে:
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সহজ,সরল ও সাদা মনের মানুষ, পরিবারের সফল অভিভাবক ও একজন গর্বিত পিতা হিসেবে নিজের সন্তানদের জন্য গর্ববোধ করেন নিষ্ঠাবান ও ন্যায়পরায়ণ পুলিশ সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি)’ তে কর্মরত। জয়নাল আবেদীন কুমিল্লা জেলার হোমনা পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ড কারার কান্দি গ্রামের মরহুম মৌলভী সামসুদ্দিন আহাম্মদ ওরফে দুধ মিয়া কেরানীর ছোট ছেলে। সে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে ঢাকা (ডিএমপি)’ তে যোগদান করেন। টানা দীর্ঘ ৩৮ বছরের চাকুরী জীবনে ন্যায়নীতিতে ও সততার সাথে চাকুরী করে যা অর্জন করেছেন তার পুরোটাই ব্যয় করেছেন সন্তানদের পড়াশুনায়। তার স্ত্রী হালিমা বেগমও মাতার দায়িত্বে কোন প্রকার অবহেলা না করে ও পারিবারিক হাজার ব্যস্থতার মাঝেও বাসায় টিউশনি করে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। তাদের ২ ছেলে ও ২ মেয়ের সংসার।
পুলিশ সদস্য জয়নাল আবেদীন ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমের পরিশ্রম বিফলে যায়নি। তাদের এক ছেলে সাইফুল ইসলাম (বাবু) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক, ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন (হৃদয়) প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অনার্স মাষ্টার ডিগ্রী অর্জন করে ৪০ তম বিসিএস প্রিলিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বড় মেয়ে রাজিয়া সুলতানা (রিংকু) অনার্স মাষ্টার ডিগ্রি পাশ করে ঢাকা গোড়ানের ইবনে সিনহা হাইস্কুলে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত, ছোট মেয়ে নয়ন আক্তার (পাপিয়া) ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত। সাংবাদিকদের সথে তার ছেলে মেয়ের এই সফলতার গল্প বলতে বলতে গর্বে তার বুক ফুলে যাচ্ছিল।
পুলিশ সদস্যের ছেলে মেয়ের এমন অর্জনের গল্প শুনলে অনেকে আনন্দিত হবে। তাই সরকারের কাছে শিক্ষিত ও সুশীল সমাজের দাবী এমন কৃতিসন্তানদের গর্বিত পিতা-মাতা পুলিশ সদস্য জয়নাল আবেদীন ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমকে পুলিশ বিভাগ কতৃক সংবর্ধনা দেয়া উচিত। এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, সততা ও নিষ্ঠা ও পরিশ্রম কখনও বিফলে যায় না। তেমনি আমার পরিবার আজ সফল ও আমি একজন গর্বিত পিতা এবং বাংলাদেশ পুলিশ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমার সন্তানদের এই অর্জন পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আমার ছেলে মেয়েরা যেন নিজেকে মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতে পারে তাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হালিমা বেগম আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন- আমাদের ছেলে মেয়ের এই অর্জন আমার জীবনের কষ্টকে সুখে পরিণত করেছে। সারা জীবন ছেলে মেয়েদের মানুষ করার জন্য কষ্ট করেছি, আমার ছেলে মেয়েরা যেন মানুষের সেবা করতে পারে সেই দোয়া চাই। পাশাপাশি অন্য চাকুরিজীবী বাবা-মায়েরাও এতে উৎসাহিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো, সাইফুল ইসলাম (বাবু) বলেন, আমাদের পরিবারের এই অর্জনের সব কৃতিত্ব আমার বাবা-মায়ের। সবার কাছে আমার বাবা-মার শারিরীক সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করি।