ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরকীয়া সন্দেহে ঘর ভাঙে চিত্রাঙ্গদার

বিনোদন ডেস্ক:

বলিউডের মধ্যম সারির একজন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা। মডেলিং দিয়ে তার কেরিয়ার শুরু, পরে আসেন অভিনয়ে। ইন্ডাস্ট্রি ও জীবন- এ দুটো নায়িকা শাসন করেছেন নিজের মর্জিতে। কলেজ পাস করার পরই চিত্রাঙ্গদা শুরু করেন মডেলিং। সে সময় বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি তিনি নজর কাড়েন কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে।

চিত্রাঙ্গদা অভিনীত প্রথম ছবি সুধীর মিশ্রের ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’। এটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। দেড় দশকের কেরিয়ারে তার ছবির সংখ্যা অবশ্য বেশ কম। অভিনয় করেন বেছে বেছে। ‘সরি ভাই’, ‘দেশি বয়েজ’, ‘জোকার’, ‘ইনকার’, ‘গব্বর ইজ ব্যাক’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার থ্রি’ ছবিগুলোতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।

 

চিত্রাঙ্গদার ভাই দিগ্বিজয় সিং চাহাল পেশায় গল্ফার। পরবর্তীতে অভিনেত্রীর জীবনও জড়িয়ে যায় এক গল্ফারের সঙ্গে। তিনি জ্যোতি রণধাওয়ার। তবে তার সঙ্গে পরিচয় বাবার কর্মসূত্রে। চিত্রাঙ্গদা ও জ্যোতির বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ছিলেনও একই রেজিমেন্টে। সেই সূত্রে স্কুলজীবনেই তাদের প্রথম পরিচয়।

তবে চিত্রাঙ্গদা ও জ্যোতির প্রেমের সূত্রপাত আরও পরে। পাঁচ বছর প্রেমের পরে ২০০১ সালে তারা গাঁটছড়া বাধেন। ১৩ বছর সংসার করার পর আসে ঝড়। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে আলাদা হয়ে যান চিত্রাঙ্গদা ও জ্যোতি। একমাত্র ছেলে জোরাওয়রের দায়িত্ব পান চিত্রাঙ্গদা। তারা হিট জুটি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাই তাদের বিচ্ছেদে হতবাক হয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রি।

অভিনেত্রী স্ত্রী এবং গল্ফার স্বামী- কেউই এই বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি। তবে গুঞ্জন শোনা যায়, একে অন্যকে সময় দিতে পারছিলেন না তারা। বিয়ের পরেই সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন চিত্রাঙ্গদা। একপর্যায়ে তার এই ব্যস্ততাই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বলে শোনা যায়। গল্ফার জ্যোতি নিজেও ব্যস্ত থাকতেন বিভিন্ন টুরে।

পরিচালক সুধীর মিশ্রের সঙ্গে চিত্রাঙ্গদার ঘনিষ্ঠতাও বিচ্ছেদের কারণ বলে মনে করেন অনেকে। তাদের একসঙ্গে অনেক জায়গায় দেখাও গেছে। কিন্তু পরে সেই ঘনিষ্ঠতা ভেঙে যায়। অন্যদিকে আবার শোনা যায়, এক বান্ধবীর সঙ্গে জ্যোতির অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি চিত্রাঙ্গদা। তাই তিনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

তবে বিচ্ছেদ যে কারণেই হোক না কেন, ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন সাবেক তারকা জুটি। এমনকি, বিচ্ছেদের পর জ্যোতিকে এও বলতে শোনা যায়, চিত্রাঙ্গদা ছাড়া তার বাড়িটা নাকি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কিন্তু পুনরায় সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

পরকীয়া সন্দেহে ঘর ভাঙে চিত্রাঙ্গদার

আপডেট সময় ০৩:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯
বিনোদন ডেস্ক:

বলিউডের মধ্যম সারির একজন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা। মডেলিং দিয়ে তার কেরিয়ার শুরু, পরে আসেন অভিনয়ে। ইন্ডাস্ট্রি ও জীবন- এ দুটো নায়িকা শাসন করেছেন নিজের মর্জিতে। কলেজ পাস করার পরই চিত্রাঙ্গদা শুরু করেন মডেলিং। সে সময় বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি তিনি নজর কাড়েন কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে।

চিত্রাঙ্গদা অভিনীত প্রথম ছবি সুধীর মিশ্রের ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’। এটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। দেড় দশকের কেরিয়ারে তার ছবির সংখ্যা অবশ্য বেশ কম। অভিনয় করেন বেছে বেছে। ‘সরি ভাই’, ‘দেশি বয়েজ’, ‘জোকার’, ‘ইনকার’, ‘গব্বর ইজ ব্যাক’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার থ্রি’ ছবিগুলোতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।

 

চিত্রাঙ্গদার ভাই দিগ্বিজয় সিং চাহাল পেশায় গল্ফার। পরবর্তীতে অভিনেত্রীর জীবনও জড়িয়ে যায় এক গল্ফারের সঙ্গে। তিনি জ্যোতি রণধাওয়ার। তবে তার সঙ্গে পরিচয় বাবার কর্মসূত্রে। চিত্রাঙ্গদা ও জ্যোতির বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ছিলেনও একই রেজিমেন্টে। সেই সূত্রে স্কুলজীবনেই তাদের প্রথম পরিচয়।

তবে চিত্রাঙ্গদা ও জ্যোতির প্রেমের সূত্রপাত আরও পরে। পাঁচ বছর প্রেমের পরে ২০০১ সালে তারা গাঁটছড়া বাধেন। ১৩ বছর সংসার করার পর আসে ঝড়। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে আলাদা হয়ে যান চিত্রাঙ্গদা ও জ্যোতি। একমাত্র ছেলে জোরাওয়রের দায়িত্ব পান চিত্রাঙ্গদা। তারা হিট জুটি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাই তাদের বিচ্ছেদে হতবাক হয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রি।

অভিনেত্রী স্ত্রী এবং গল্ফার স্বামী- কেউই এই বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি। তবে গুঞ্জন শোনা যায়, একে অন্যকে সময় দিতে পারছিলেন না তারা। বিয়ের পরেই সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন চিত্রাঙ্গদা। একপর্যায়ে তার এই ব্যস্ততাই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বলে শোনা যায়। গল্ফার জ্যোতি নিজেও ব্যস্ত থাকতেন বিভিন্ন টুরে।

পরিচালক সুধীর মিশ্রের সঙ্গে চিত্রাঙ্গদার ঘনিষ্ঠতাও বিচ্ছেদের কারণ বলে মনে করেন অনেকে। তাদের একসঙ্গে অনেক জায়গায় দেখাও গেছে। কিন্তু পরে সেই ঘনিষ্ঠতা ভেঙে যায়। অন্যদিকে আবার শোনা যায়, এক বান্ধবীর সঙ্গে জ্যোতির অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি চিত্রাঙ্গদা। তাই তিনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

তবে বিচ্ছেদ যে কারণেই হোক না কেন, ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন সাবেক তারকা জুটি। এমনকি, বিচ্ছেদের পর জ্যোতিকে এও বলতে শোনা যায়, চিত্রাঙ্গদা ছাড়া তার বাড়িটা নাকি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কিন্তু পুনরায় সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।