খেলাধূরা ডেস্ক:
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার তারকাখ্যাতি আগেও ছিল বেশ। কিন্তু চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দলীয় আর ব্যক্তিগত নৈপুণ্য সে তারকাখ্যাতিকে দিয়েছে বাড়তি মাত্রা। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে বর্তমানে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ খেলতে চট্টগ্রামে থাকা এই মিডফিল্ডার জানালেন সময়টা দারুণভাবেই উপভোগ করছেন তিনি।
চলতি মাসে যেন দম ফেলার ফুরসত নেই জামালের। মাসের শুরুতে কাতার-ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার পরই চলে আসতে হয়েছে শেখ কামাল কাপ খেলতে। এমন ঠাসবুনটের সূচি কিছুটা অবসাদও বয়ে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য।
গতকাল টিম হোটেলের লবিতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কিছুটা ক্লান্তি আছে। গতকালের ম্যাচের সময় ক্লান্ত ছিলাম। আসলে পুরো মাসটাই কাটছে খুব ব্যস্ততায়। অনুশীলন, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ, এই টুর্নামেন্ট, সামনে সফর আছে। খুব লম্বা একটা মাসই চলছে।’
সামনে ব্যস্ততাটা বাড়বে আরো কয়েকগুণে। ওমানের বিপক্ষে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলেই, নেপালে দৌড়াতে হবে এসএ গেম খেলবার জন্য। সম্ভাবনা আছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেরও। এমন ব্যস্ততাকে সাধুবাদই জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জামাল ভাষ্য, ‘যত বেশি খেলা হবে তত বেশি মানুষ ফুটবলের সঙ্গে জড়িত থাকবে। মানুষ আনন্দ পাবে। এটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ভালো। গত বছর তো পাঁচটা মাস গেছে কোনো ম্যাচ ছিল না, ট্রেনিং ছিল না। মানুষ এ নিয়ে অনেক কথা বলেছে। এবার অন্তত মানুষ অভিযোগ করার সুযোগ পাবে না। তারা খেলার সঙ্গে থাকতে পারবে। সব মিলিয়ে আমি খুশি।’
সাম্প্রতিক সময়ে ভালো নৈপুণ্য দেখালেও সেগুলোকে জয়ে রূপ দিতে পারেনি জেমি ডের শিষ্যরা। আক্রমণভাগের ব্যর্থতাই ছিল বড়ো কারণ। জামাল জানালেন দেশের লীগে বিদেশি ফরোয়ার্ডদের আধিক্য বড়ো নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে এতে, ‘শেষ কিছুদিনে ভালো খেলছি। অনেক কম হজম করছি। কিন্তু আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, ফলে গোল করতে পারিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে যারা খেলে সবাই বিদেশি স্ট্রাইকার। ওরাই গোল করে। লিগের একটাই নেতিবাচক দিক, যার প্রভাব জাতীয় দলে পড়ে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছেন জামাল। লাওসের বিপক্ষে প্রাক-বাছাই ম্যাচে একমাত্র গোলটি এসেছিল তার বাড়ানো বল থেকে। চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের একমাত্র গোলটির উত্সও তিনিই। এমন পারফরমেন্সের সুবাদে তারকাখ্যাতিটা হু-হু করে বেড়েছে গেল কিছু দিনে। জামাল জানালেন এটা উপভোগই করছেন তিনি। জামালের ভাষ্য, ‘ভালো লাগছে ব্যাপারটা। তবে একেবারে সহজও নয়। কেননা পরিস্থিতি যে কোনো সময় পালটে যেতে পারে। এজন্য সবসময় নিজের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।
এমন তারকাখ্যাতি ভবিষ্যতে আরো ভালো করার তাড়নাও জোগায়, অভিমত বাংলাদেশ অধিনায়কের। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি মানুষের প্রত্যাশাটা অনেক, এটা বুঝি। আমিও তাদের প্রত্যাশা মেটাতে চাই। আমাকে অন্তত আগের দিনের চেয়ে পরের দিন ভালো করতে হবে। আমি মনে করি বাংলাদেশের ফুটবল এখন ওপরের দিকে যাচ্ছে। আমি এর অংশ হয়ে থাকতে চাই। এই মুহূর্তে আমি সময়টা উপভোগ করছি।’