আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের অ্যাসেক্সে লরির ভেতরে যে ৩৯টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের সবাই চীনা নাগরিক হতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় পুলিশ। গতকাল স্থানীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে লাশগুলোর মধ্যে ৮টি নারী ও ৩১টি পুরুষের মৃতদেহ রয়েছে। সবগুলো মৃতদেহ চীনা নাগরিকদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এরপর রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা নিকটবর্তী গ্রেইস শহরের ওয়াটারগ্লেইড শিল্প পার্ক এলাকায় ট্রেইলারটির ভিতরে মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়।
ইতোমধ্যে, দেশটির উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২৫ বয়স্ক লরির চালক মো. রবিনসনকে আটক করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশ তাকে মূল ঘটনা উদঘাটনে জেরা করছে। রবিনসন উত্তর আয়ারল্যান্ডের আর্মাগ কাউন্টির পোর্টাডাউনের বাসিন্দা।
অ্যাসেক্সে পুলিশের উপপ্রধান কনস্টেবল পিপা মিলস জানিয়েছেন, লরিটি খুঁজে পাওয়ার পর তা টিলবুরি ডকসের একটি সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলো মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ ও উদ্ধার করার জন্য এমনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, লরিটি বুলগেরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আটক লরিটি বুলগেরিয়ায় এক আইরিশ নাগরিকের নামে নিবন্ধিত।
অভিবাসন পর্যবেক্ষকদের মতে, মর্মান্তিক এই ঘটনা লরিতে করে অন্য দেশে মানুষ পাচারকারী চক্রের ভয়াবহ চিত্রকেই সামনে নিয়ে এসেছে।
২০০০ সালে ৫৬ জন মৃত সহ ২ জীবিত চীনা অভিবাসীদের লরি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নেদারল্যান্ডের এক চালক সাজাভোগ করছেন। এছাড়া ২০১৫ সালেও অস্ট্রিয়ার একটি সড়কে পরিত্যক্ত একটি লরির ভেতর ৭১ টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। লরিটি বুলগেরীয়-হাঙ্গেরিয়ান মানব পাচার চক্রের কাজে ব্যবহৃত হতো বলে সেসময় পুলিশ সন্দেহ করেছিল।