আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরাকের সরকার-বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১৮ যুবকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তর। মঙ্গলবার সকালে সরকারের দূর্নীতি নির্মূল ও সরকার পতনের দাবিতে আন্তর্জাতিক কারবালায় আন্দোলন গড়ে তোলেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভটি নস্যাৎ করতে পুলিশ এসময় গুলি চালালে প্রাণ হারান ১৮ জন যুবক। খবর এনবিসি নিউজের।
কারবালায় আন্দোলন গড়ে তোলেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভটি নস্যাৎ করতে পুলিশ এসময় গুলি চালালে প্রাণ হারান ১৮ জন যুবক। খবর এনবিসি নিউজের।
একইদিনে রাজধানী বাগদাদে সংঘটিত আন্দোলনে দুইজন নিহত ও ১০৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী। হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নাসিরিয়াতে আরেকটি বিক্ষোভে অন্তত ৮৬৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিহত হয়েছেন আরও তিনজন।
কারবালার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬৬ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। কারবালা শহরের পুলিশ প্রধান অবশ্য হতাহতের এই পরিসংখ্যান অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘পুলিশের গুলিতে কোন বিক্ষোভকারী মারা যায়নি। অপরাধসংক্রান্ত কারণে বিচ্ছিন্ন আরেকটি ঘটনায় একজন মারা গেছেন।’
মঙ্গলবার বিকালের দিকে কারবালার গভর্ণর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। কিন্তু, কিছু বেপরোয়া বিক্ষোভকারী দেশের জনগণের সম্পদ ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সোমবার ও মঙ্গলবারে কোন বিক্ষোভকারী মারা যাননি। কারবালার আন্দোলনকে অতিরঞ্জিত করতে বিভিন্ন বানোয়াট ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ স্থগিত থাকার পর ইরাকের সরকারবিরোধী আন্দোলন ফের শুরু হলে গত চার দিনে প্রায় ৭৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারখানেক। প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী সরকার ও তার মন্ত্রীসভাকে দুর্নীতিবাজ ও জনবিমুখ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন ইরাকের লাখ লাখ ছাত্র-জনতা। এছাড়া ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে একমাসে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন আড়াইশর বেশি আন্দোলনকারী।