জাতীয় :
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের তত্ত্বাবধানে করিয়েছেন। সেই তালিকায় দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন এই তথ্য। শুক্রবার বিকালে সাভারে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় সড়ক পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের তত্ত্বাবধানে করেছেন। এরা যেন আওয়ামী লীগের কোনো পদে আসতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তালিকা অনুযায়ী সারাদেশে আমাদের সম্মেলনগুলো হচ্ছে। এই সম্মেলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। যাতে বিতর্কিত লোক আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে কোনো পর্যায়ে কিংবা শাখা সংগঠনে স্থান না পায়।’
কাদের বলেন, ‘তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে আমরা দলে নিয়েছি। এরকরম ভালো অথবা ক্লিন ইমেজের কেউ থাকলে তাদেরকে আমরা দলে নিতে পারি। এটা ঠিক অনুপ্রবেশের সংজ্ঞায় পড়ে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার দলের লোকজন রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্য ও তার দলীয় লোকদের বক্তব্যের মধ্যে কোনো মিল নেই। মেডিকেল বোর্ড বেগম জিয়াকে অসুস্থ বলছে না, বলছে- তিনি ভালো আছেন। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার দলীয় লোকজন যা বলছেন সেটা সঠিক নয়।’
‘আমার কাছে কেন জানি মনে হয়- বেগম জিয়ার দলীয় লোকজন তার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে এখান থেকে রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।’
সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আষাঢ় মাসের তর্জন গর্জন আর তাদের হাঁকডাক একই রকম। এটার বাস্তব কোনো কার্যকারিতা নেই। তাদের নেতাকর্মীদের খুশি ও চাঙা রাখতেই এই হাঁকডাক দিতে হয়।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে সবকিছু। তিনি বিষয়টা খতিয়ে দেখছেন। সময়মত বাস্তবায়ন ও সিদ্ধান্ত অবশ্যই হবে।’