ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার উপজেলার মানিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, অভিযুক্ত ইমাম ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এই ঘটনা আজ (শনিবার) জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মানিকপুর গ্রামের নুরুল উদ্দিন মৌলভির বাড়ির মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিল পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার মিঠাই ভাঙ্গা গ্রামের জুনায়েদ। সে মানিকপুর ইসলামিয়া মাদরাসার ইমাম। প্রতিদিন সকালে এলাকার বাচ্চাদের আরবি শিক্ষা দিতেন এই ইমাম। গত বৃহস্পতিবার সকালে মক্তবে পড়ার সময় অন্যদের ছুটি দিয়ে কৌশলে ভিকটিমকে তার কক্ষে নিয়ে যায় এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এই ইমাম। বাড়িতেতে ফিরে আসলে ভিকটিম কান্নাকাটি করলে তার মার সন্দেহ হয়, তাকে জিজ্ঞেস করলে তার মার কাছে স্বীকার করে ধর্ষণের বিষয়টি।বিষয়টি তাৎক্ষণিক কাউকে না জানিয়ে পরবর্তীতে তাকে বাঞ্ছারামপুর ইসলামী হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বাঞ্ছারামপুর ইসলামি হাসপাতালের চিকিৎসক বদরুন্নেসা আখি জানান, যে শিশুটি আমার কাছে চিকিৎসা নিতে এসেছিল সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে আমি চিকিৎসা করে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দিয়েছি।
মানিকপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি ঘটনা জানার পর এলাকাবাসীকে বলছি, এই ইমাম যে আমার মাদ্রাসায় কর্মরত তাকে বাদ দিয়ে দিব। আমি এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছি বিষয়টি সঠিক নয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার সূত্রে জানা গেছে, মানিকপুর গ্রামে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।আজ ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে ধর্ষক জুনায়েদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।তবে জুনায়েদ পলাতক।তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।