বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাচ্চু হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার বিষ্ণুরামপুর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, মোসলেম মেম্বার, স্বপন মিয়া, ফারুক আহমেদ, গোলাম সারোয়ার হোসেন ও আলামিন মিয়াজি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বক্তব্য রাখেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলারবিষ্ণুরামপুর গ্রামের মুদি দোকানদার বাচ্চু মিয়ার (৩০) স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রিনা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার বাহের চর গ্রামের তজু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়ার প্রায় দুই বছর যাবত পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাম্য শালিসি হয় এবং প্রেমিক রফিককে অপমান করা হয়। এর জের ধরে গত শনিবার বিকালে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানের মাল কেনার জন্য রফিক মোটরসাইকেলে বাচ্চু মিয়াকে নিয়ে বাজারে যায়। এরপর রাত ১১টার পর বাচ্চুর নিখোঁজের খবর পায় তার পরিবার।
রবিবার ভোরে বাচ্চুর বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর ৫/৬জন লোককে নিয়ে খোঁজ করতে থাকে বাচ্চুকে। এতে যোগ দেয় রফিকও। খোঁজ করা সবাইকে একদিকে পাঠিয়ে রফিক যায় পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে। কিছুক্ষণ পর রফিক জানায়, হাত পা বেঁধে গলাকাটা অবস্থায় কলাবাগানে বাচ্চুর লাশ পড়ে আছে। পার্শ্ববর্তী লোকজনের তখন সন্দেহ হয় এবং নিহত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তার ও রফিককে আটক করে স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ বাচ্চুর লাশ কলাবাগান থেকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর জানান, বাচ্চুর স্ত্রী রিনা নিখোঁজের বিষয়টি গোপন রেখেছে। রিনা ও প্রেমিক রফিক দুইজন পরিকল্পনা করে আমার ভাইকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ রীনা ও রফিককে আটক করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বাচ্চু হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।