শাহীন আলম, দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ
রোজ রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
একটি সমাজ এমনিই সুন্দর হয়না, সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য সুন্দর মনের মানুষ হতে হবে আগে। তাহলেই গড়ে উঠবে শিক্ষিত জাতি, আধুনিক ও সমৃদ্ধ সমাজ। সামাজিক অবকাঠামো টেকসই ও মজবুত রাখার জন্য প্রয়োজন সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত ও তার বাস্তব প্রয়োগ। সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত সমাজ তখনই গড়ে উঠবে যখন তার গোড়ায় শিক্ষিত, নির্লোভ নেতৃত্ব থাকবে। আমি আশা করি সমাজের খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষ এবারের ইউপি নির্বাচনে এমন যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকেই খুঁজে বের করে তাদের মূল্যবান রায় দিবে। আসন্ন দেবিদ্বার উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং রসুলপুর ইউপি’র বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: মাহবুব আলম সরকার এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি মানুষের আমানত খেয়ানত করার জন্য নয় বরং তাদের আমানত সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে পৌছে দেয়ার জন্য। জন সাধারণের প্রত্যাশীত রায় পেলেই সততা ও যোগ্যতার প্রমান দিতে পারব। রসুলপুরের বিভিন্ন হাটবাজারে ও চা স্টলের চায়ের চুমুকে চুমুকে চলছে নির্বাচনী হাওয়া। ভোটাররা গল্প গুজবে প্রকাশ করছে মনের মধ্যে লালিত স্বপ্নের প্রার্থীর নাম ।রসুলপুরের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা গেছে ভোটারদের কাঙ্খিত স্বপ্ন ও ক্ষোভ এমনই একজন ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদকের কাছে ‘‘ভাই ভোট আইলে প্রার্থীর দরকার ভোট আর আমগো দরকার টেহা, টেহা পাইলে কলা গাছকে ভোট দেই এ জন্যই তো আমগো দেশের উন্নয়ন হয়না, প্রার্থীরা নির্বাচনে যেই টেহা খরচ আর হেই টেহা চেয়ারম্যান অইলে সুদে আসলে তুইল্যা লয়, আমগো বাঙ্গালী নগদে বিশ্বাসী, নগদ একশ টেহার মূল্য বেশী বাকী ৫হাজার টেহার কোন মূল্য নাই’’ আরেক ভোটার জানায়, ‘‘ভাই যে যতই বলুক এবারের (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই’য়ে ভুল করতাম না’ যে সৎ-যোগ্য তাকেই ভোট দিমু’’
ভোটারদের মতামত সম্পর্কে চেয়ার্যমান প্রার্থী মাহবুব আলম সরকার বলেন, ‘ভোট’ পবিত্র আমানত তা সঠিক জায়গাই প্রয়োগ করাই উচিত, ভোটার সামান্য কিছু টাকার লোভে পবিত্র আমানত খেয়ানত করবে এটা আমি প্রত্যাশা করি না। তাছাড়া এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমি চাই আমার ইউনিয়নের সকল ভোটার সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিয়ে সঠিক কাজটিই করবে। এছাড়া আমরা বংশগত ও পারিবারিক ভাবে বিগত ৫০ বছর ধরে মানুষের সেবা করে আসছি, আমার দাদা মো: অছিউদ্দিন সরকার রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। বড় জেঠা হাজী মো: মোসলেহ উদ্দিন সরকার (শানু চেয়ারম্যান) ১৫ বছর, আমার পিতা মো: মফিজ উদ্দিন সরকার ৫বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে মানুষের সেবা করে গেছেন । আমার বাপ-দাদারা যেভাবে মানুষের সেবা দিয়ে গেছেন আমিও তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রেখে গরীব-দুখী মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাবো ইনশাআল্লাহ। তাই আমি আমার ইউনিয়নের সর্বসাধারণ কে বলব অন্তত একটি বারের জন্য হলেও আমাকে সুযোগ দিন আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই, আমাকে পাশে রাখুন।