খেলাধূলা :
কোচের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে দক্ষিণ এশিয়ান গেমস (এসএ গেমস) থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নারী বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড় তাসফিয়া চৌধুরী। অনুশীলনের সময় এক খেলোয়াড়ের দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন কোচ সবুজ মিয়া এবং ওই খেলোয়াড়কে চড় মারছেন- এমন একটি ভিডিও ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন তাসফিয়ার বাবা কাউসার চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে বিওএকে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে অনুশীলনে মেয়েদের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কোচ সবুজ মিয়া। তার দাবি, ভয় দেখাতে তিনি মারার ভান করেছেন।
নেপালের কাঠমান্ডু-পোখারায় আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নেবে বাংলাদেশ। বাস্কেটবলে ছেলে-মেয়ে উভয় বিভাগেই বাংলাদেশ অংশ নেবে। তাসফিয়ার বাবা কাউসার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসএ গেমসে খেলার জন্য তাসফিয়া সেমিস্টার বাদ দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ট্রেনিং করছে। শুরুতে খুব খুশি ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে সে বলল, ওদের বিকেএসপিতে নিয়ে যাবে। আমিও বললাম যাও। বাসা থেকে যাওয়া আসা করে অনেক কিছু হয় না। ওখানে গেলে অনেক কিছু শিখবে। বিকেএসপি থেকে একদিন মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল, নতুন যে কোচ, সে খুব অ্যাবিউসিভ। সে সবাইকে থাপ্পড় মারছে। উল্টা-পাল্টা কথা বলছে।’
কাউসার চৌধুরী বলেন, শুরুতে তারা মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে মেয়ে যখন ওই ভিডিও দেখালো, তখন তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনেই ‘ভীষণ আপসেট’ হন। এই শুক্রবার রাতে মেয়ে এসে বলল সে আর খেলবে না । আমি আজকে সকালে মেইল করে অলিম্পিক কমিটিকে জানিয়েছি। সেখানে ভিডিও অ্যাড করে দিয়েছি।”
তাসফিয়া চৌধুরী বলেন, অনুশীলনে ভুল হলেই কোচ মারধর করতেন খেলোয়াড়দের। অনেক দিন ধরেই এটা চলছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাস্কেটবল দলের কোচ সবুজ বলেন, অনুশীলনে বারবার ভুল করার কারণে তিনি খেলোয়াড়ের দিকে ‘তেড়ে গিয়েছিলেন’ শুধু, মারেননি। আপনারা ভিডিওটা দেখেন। এটা বিকেএসপির ঘটনা; প্রায় মাসখানেক আগের ঘটনা। আমি কিন্তু মেয়েটার গায়ে হাত তুলিনি; মারিনি। হাতটা শো করেছি। আপনারা একটু দেখেন ভালো করে। একটু ভয়-ভীতি তো দেখাতে হয় মাঝেমধ্যে। ও বারবার লিফট মিস করছিল, তাই….।’
ফেডারেশনগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক ফেডারেশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, কোনো পরিস্থিতিতেই খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি বিওএ অনুমোদন করে না। দুই পক্ষকে নিয়ে তিনি সোমবার বসবেন। এসব ব্যাপারে আমাদের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’। অভিযোগের সত্যতা পেলে তারা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।