ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রধান শিক্ষক আহত

মো: তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার হোমনায উপজেলায় দুর্বৃত্তরা এক প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে ভাড়া বাসায় যাওয়ার পথে পূর্ব আড়ালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষকের নাম এটিএম আবদুল মতিন। তিনি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তার আহতের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা ও হোমনা থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই শিক্ষক বাদী হয়ে ৮ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতে আভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার কোর্টের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে এবং আহত প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন জানান, গত কয়েক মাস পূর্ব থেকে আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তিনি বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি তার এক সহকারী শিক্ষককে নিয়ে রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে তার বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আড়ালিয়া এলাকার জনৈক হাক্কু মিয়ার পুকুরের পশ্চিম পাড়ে পৌঁছলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র, হকি স্টিক ও লোহার রড নিয়ে তাদের পথরোধ করে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। এতে তার মাথা, হাত-পা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ও জখম হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার মোল্লা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার মোল্লা বলেন, প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিনকে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করেছে শুনেই আমি লোকজন নিয়ে দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করাই। এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী বলেন, কিছুদিন পূর্বে কেউ কেউ প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করেছে। এ নিয়ে তার সঙ্গে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

হোমনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রধান শিক্ষক আহত

আপডেট সময় ০২:০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

মো: তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার হোমনায উপজেলায় দুর্বৃত্তরা এক প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে ভাড়া বাসায় যাওয়ার পথে পূর্ব আড়ালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষকের নাম এটিএম আবদুল মতিন। তিনি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তার আহতের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা ও হোমনা থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই শিক্ষক বাদী হয়ে ৮ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতে আভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার কোর্টের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে এবং আহত প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন জানান, গত কয়েক মাস পূর্ব থেকে আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তিনি বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি তার এক সহকারী শিক্ষককে নিয়ে রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে তার বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আড়ালিয়া এলাকার জনৈক হাক্কু মিয়ার পুকুরের পশ্চিম পাড়ে পৌঁছলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র, হকি স্টিক ও লোহার রড নিয়ে তাদের পথরোধ করে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। এতে তার মাথা, হাত-পা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ও জখম হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার মোল্লা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার মোল্লা বলেন, প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিনকে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করেছে শুনেই আমি লোকজন নিয়ে দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করাই। এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী বলেন, কিছুদিন পূর্বে কেউ কেউ প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করেছে। এ নিয়ে তার সঙ্গে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।