ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে বিষপানে গৃহবধূঁর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টারঃ :

পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এক গৃহবধু। এমন অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধুর মা রাবেয়া আক্তার।

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসদরের কদমতলী গ্রামে ঘটনার পর থেকে কথিত প্রেমিক আউলিয়া গা-ঢাকা দেয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাউদকান্দি উপজেলার কদমতলি গ্রামের দিল মোহাম্মদের সাথে ১২ বছর পূর্বে বাজরা গ্রামের নাজির বেপারীর মেয়ে হালিমা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে চাকরির সুবাদে স্বামী ঢাকায় থাকেন এবং মাসে দুই/একবার বাড়ীতে আসেন। ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তানজিনা ও আবু সাঈদ নামে দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী ঢাকায় থাকার ফাকে কেডিসি এলাকার হানিফ সওদাগড়ের ছেলে আউলিয়ার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন হালিমা বেগম। বিষয়টি এলাকাবাসীর চোখে ধরা পরায় হালিমা বেগম পরকিয়া প্রেমিক আউলিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে প্রেমিক আউলিয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমা বেগমের পরকিয়া মুহুর্তের কয়েকটি অশ্লীল ছবি তার নিজস্ব আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপলোড করলে তা মহুর্তেই ভাইরাল হয়ে য়ায়। হালিমা এ অপমানে ১৪ অক্টোবর বিষ পান করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুটা সুস্থ্য হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ীতে নিয়ে গেলে পরদিন দুপুরে হালিমা মারা যায়।

নিহত হালিমার মা রাবেয়া বেগম জানান, এলাকায় জুয়ার সর্দার আউলিয়া অনেক টাকার মালিক। টাকার লোভে ফেলে আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করেছে। আর কোন মেয়ের সংসার যেন নষ্ট করতে না পারে এজন্য তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবী করছি। অনেকবার তাকে বাড়ীতে আসতে নিষেধ করেছে।

দাউদকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার পর থেকে আউলিয়া পলাতক রয়েছে। শুনেছি সে আগে জুয়া খেলতো এবং আসরও চালাতো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

দাউদকান্দিতে বিষপানে গৃহবধূঁর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০২:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টারঃ :

পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এক গৃহবধু। এমন অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধুর মা রাবেয়া আক্তার।

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসদরের কদমতলী গ্রামে ঘটনার পর থেকে কথিত প্রেমিক আউলিয়া গা-ঢাকা দেয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাউদকান্দি উপজেলার কদমতলি গ্রামের দিল মোহাম্মদের সাথে ১২ বছর পূর্বে বাজরা গ্রামের নাজির বেপারীর মেয়ে হালিমা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে চাকরির সুবাদে স্বামী ঢাকায় থাকেন এবং মাসে দুই/একবার বাড়ীতে আসেন। ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তানজিনা ও আবু সাঈদ নামে দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী ঢাকায় থাকার ফাকে কেডিসি এলাকার হানিফ সওদাগড়ের ছেলে আউলিয়ার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন হালিমা বেগম। বিষয়টি এলাকাবাসীর চোখে ধরা পরায় হালিমা বেগম পরকিয়া প্রেমিক আউলিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে প্রেমিক আউলিয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমা বেগমের পরকিয়া মুহুর্তের কয়েকটি অশ্লীল ছবি তার নিজস্ব আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আপলোড করলে তা মহুর্তেই ভাইরাল হয়ে য়ায়। হালিমা এ অপমানে ১৪ অক্টোবর বিষ পান করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুটা সুস্থ্য হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ীতে নিয়ে গেলে পরদিন দুপুরে হালিমা মারা যায়।

নিহত হালিমার মা রাবেয়া বেগম জানান, এলাকায় জুয়ার সর্দার আউলিয়া অনেক টাকার মালিক। টাকার লোভে ফেলে আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করেছে। আর কোন মেয়ের সংসার যেন নষ্ট করতে না পারে এজন্য তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবী করছি। অনেকবার তাকে বাড়ীতে আসতে নিষেধ করেছে।

দাউদকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার পর থেকে আউলিয়া পলাতক রয়েছে। শুনেছি সে আগে জুয়া খেলতো এবং আসরও চালাতো।