জাতীয় :
হাইকোর্টের গেট থেকে আটক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে শাহবাগ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন রিমান্ড আবেদন করেন। অপরদিকে বিএনপি নেতাদের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তাদের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী হকার্স দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনও জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপির এই নেতাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় হাইকোর্টের সামনে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। অপরদিকে তাদের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ দশ হাজার টাকা মুচলেখায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনায় রাতে সরকারি কাজে বাধা দেয়া, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলায় ১৫-২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
ওই মামলার পর বুধবার ভোর রাতে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হন হাফিজ ও খোকন।
যদিও পুলিশ বলছে, পুরানো মামলায় খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি উপলক্ষে আদালতে যাওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও মবকুলকে আটক করে পুলিশ। আর হাফিজ উদ্দিন আহমদকেও সুপ্রীম কোর্ট এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল।