ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে মুসলিম দেশগুলোতে: আনন্দবাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও তার বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে নিপীড়নের ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভ বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির বাংলা দৈনিক ‘আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, আগে থেকেই মালয়েশিয়া ও তুরস্ক ভারতের বর্তমান মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আসছিলো। পাশে ছিলো অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এবং আরবের দেশগুলো। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেও ভারত সরকারের বেশ কিছু কাজ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

অভিযোগ উঠছে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বিষয়টি সরকারের কাছে আগামী দিনগুলোতে বড় চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরবের দেশগুলোর কাছ থেকেও নেতিবাচক বার্তা পাচ্ছে ভারত।

সম্প্রতি দিল্লির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, কয়েক বছরে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রসারিত হয়েছে। ভারতের কাছে তা সম্পদস্বরূপ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ‘প্রসারিত সম্পর্ক’ যে অনেকটাই ধাক্কা খেতে চলেছে তা একের পর এক ঘটনায় স্পষ্ট। ঘরোয়া রাজনীতি ও কেন্দ্রীয় নীতি প্রণয়নের জন্য বিদেশনীতির প্রশ্নে কতটা সমঝোতা করা হবে, এখন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে।

আরও পড়ুন: আমি কারো সঙ্গে বেঈমানি করিনি: তোফায়েল

আনন্দবাজার স্পষ্ট করে জানায়, যে ভাষায় ৫৭ মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসি সমালোচনা করতে শুরু করেছে, তার প্রভাব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত সম্পর্কে পড়তে পারে এবং বিষয়টি সবচাইতে বেশি সাহায্য করবে পাকিস্তানকে।

দু’দিন আগেই ওআইসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় কোণঠাসা হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়া এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে উদ্বিগ্ন ওআইসি। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে যে সনদ রয়েছে, তার থেকে যদি ভারতে অন্য কিছু হয়, তা হলে তা গোটা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। মুসলিমদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ওআইসি-র পক্ষ থেকে সরাসরি অনুরোধ করা হচ্ছে।

অথচ এই ওআইসি-তে গত বছরেই প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে ডাক পায় ভারত। অন্যদিকে ভারতের অংশগ্রহণের কারণে প্রতিবাদ করে সম্মেলন বয়কট করে পাকিস্তান। বিষয়টিকে সে সময় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখেছিলো নয়াদিল্লি। আর সে কারণেই ওআইসি’র এই সুর পরিবর্তনের প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে দেশটির কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৩

ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে মুসলিম দেশগুলোতে: আনন্দবাজার

আপডেট সময় ০১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও তার বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে নিপীড়নের ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভ বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির বাংলা দৈনিক ‘আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, আগে থেকেই মালয়েশিয়া ও তুরস্ক ভারতের বর্তমান মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আসছিলো। পাশে ছিলো অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এবং আরবের দেশগুলো। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেও ভারত সরকারের বেশ কিছু কাজ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

অভিযোগ উঠছে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বিষয়টি সরকারের কাছে আগামী দিনগুলোতে বড় চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরবের দেশগুলোর কাছ থেকেও নেতিবাচক বার্তা পাচ্ছে ভারত।

সম্প্রতি দিল্লির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, কয়েক বছরে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রসারিত হয়েছে। ভারতের কাছে তা সম্পদস্বরূপ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ‘প্রসারিত সম্পর্ক’ যে অনেকটাই ধাক্কা খেতে চলেছে তা একের পর এক ঘটনায় স্পষ্ট। ঘরোয়া রাজনীতি ও কেন্দ্রীয় নীতি প্রণয়নের জন্য বিদেশনীতির প্রশ্নে কতটা সমঝোতা করা হবে, এখন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে।

আরও পড়ুন: আমি কারো সঙ্গে বেঈমানি করিনি: তোফায়েল

আনন্দবাজার স্পষ্ট করে জানায়, যে ভাষায় ৫৭ মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসি সমালোচনা করতে শুরু করেছে, তার প্রভাব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত সম্পর্কে পড়তে পারে এবং বিষয়টি সবচাইতে বেশি সাহায্য করবে পাকিস্তানকে।

দু’দিন আগেই ওআইসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় কোণঠাসা হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়া এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে উদ্বিগ্ন ওআইসি। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে যে সনদ রয়েছে, তার থেকে যদি ভারতে অন্য কিছু হয়, তা হলে তা গোটা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। মুসলিমদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ওআইসি-র পক্ষ থেকে সরাসরি অনুরোধ করা হচ্ছে।

অথচ এই ওআইসি-তে গত বছরেই প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে ডাক পায় ভারত। অন্যদিকে ভারতের অংশগ্রহণের কারণে প্রতিবাদ করে সম্মেলন বয়কট করে পাকিস্তান। বিষয়টিকে সে সময় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখেছিলো নয়াদিল্লি। আর সে কারণেই ওআইসি’র এই সুর পরিবর্তনের প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে দেশটির কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা।