আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি থেকে সরে না আসলে ডিসেম্বরের শেষে উত্তর কোরিয়া কড়া পদক্ষেপ নেবে তা আগেই জানিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় উত্তর কোরিয়ার ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির কয়েক দিনব্যাপী সম্মেলনে দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান কিম জং উন। বছরের এ সময়ে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের সম্মেলনের ঘটনা বিরল। ভাষণে আক্রমণাত্মক নীতির কথা বললেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি বিশ্বের আলোচিত এই নেতা। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এ খবর দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ বিষয়ক আলোচনা বন্ধ করে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আবার শুরু করতে পারে বলে যখন জল্পনা চলছিল তখন কিম এ আহ্বান জানালেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উত্তর কোরিয়া আলোচনা বন্ধ করে দিলে ওয়াশিংটন ‘মারাত্মকভাবে হতাশ’ হবে।
সম্প্রতি পিয়ংইয়ং ঘোষণা করেছিল, চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ছাড় দিতে ব্যর্থ হলে উত্তর কোরিয়া ‘ভিন্ন ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে। রবিবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রায়েন বলেন, উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা ওয়াশিংটনে হতাশা সৃষ্টি করবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করাতে চায়।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম শনিবার এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন এবং রবিবার এই ভাষণ দেন। সোমবারও এই সম্মেলন চলবে। ক্ষমতাসীন দলের এই সম্মেলনে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে এখানে মূলত কিমের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করা হয়। বিপুল ক্ষমতাবলে এসব সিদ্ধান্ত নেন কিম জং উন।