মো. আবু রায়হান চৌধুরী, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান,সাবেক যুগ্ন-সচিব,আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম বাঞ্ছারামপুর বড় বাজার রোডে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বলেছেন, দেশ স্বাধীন হলেও যাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ। ফলে স্বাধীনতা এলেও নেতার অনুপস্থিতিতে অপূর্ণতা থেকে গিয়েছিল বিজয়ের গৌরব উদ্যাপনে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছিল বীর বাঙালি। কালের আবর্তে আজ আবার ফিরে এল সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিময় দিন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম উপস্থিত থাকতে না পাড়লেও তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। দিবসটি পালনের জন্য আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আওয়ামীলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোচনা সভা। সকাল সাতটায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন এবং বেলা তিনটায় উপজেলা অডিটরিয়াম কক্ষে আলোচনা সভা। দিবসের আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ গড়াসহ অনেক স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। তবে সেই বাংলাদেশে এখনো ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ছে। এমন মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বাঞ্ছারামপুর বড় বাজার রোডে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক যুগ্ন-সচিব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম। উক্ত আলোচনাসভায় উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.কবির হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস জলি আমির, উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ও উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল-রহমান জনি,উপজেলা
কৃষক লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু রঞ্জন সাহা,তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক মো.আল-আমিন,উপজেলা শ্রমিক লীগ আহবায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, সদস্য সচিব জাকির হোসেন,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক মো.আলা উদ্দিন সরকার,বাঞ্ছারামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল হায়দার,পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আ.রাজ্জাক,উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.নাছির উদ্দিন, পৌর যুবলীগের সভাপতি মো.কামাল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.নাছির উদ্দিন (নাছিম), ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি মাসুদ রানা,উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ভিপি বিল্লাল মিয়া,সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন টিপু,কৃষক লীগের,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী ফরিদুজ্জামান,কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো. ফরাসউদ্দিন,বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীর শাহাবুদ্দিন প্রমূখসহ আরো অনেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ,কৃষক লীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিকেল তিনটায় উপজেলা অডিটরিয়াম কক্ষে আলোচনা সভা শেষে এক মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।