খেলাধূলা :
প্রথম ম্যাচে অন্তত সামান্য হলেও লড়াই দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তার ছিঁটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি টাইগাররা। ১২ বছর পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিরিজ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে টি-টোয়েন্টির মেজাজেই ১৪.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল বাবর আজমের দল।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬ রানে শফিউল ইসলামের বলে ডাক মেরে ওপেনার আহসান আলী ফিরলেও জয়ের পথে আর কোনো বাধা পায়নি পাকিস্তান। বাবর ও মোহাম্মদ হাফিজের ফিফটিতে অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। ৪৪ বলে ৭ চার ও ১ ছ্ক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর। ৪৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করেন হাফিজ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় টার্গেট দেওয়ার কোনো মনোভাব দেখা যায়নি টাইগারদের মধ্যে।
শুরুতেই অবশ্য তারা হারিয়ে ফেলে মোহাম্মদ নাঈমকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শাহীন আফ্রিদির বলে ডাক মেরে ফেরেন বাংলাদেশ ওপেনার। এরপর দ্রুত বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান (৯)।
স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে বাংলাদেশকে আবারও বিপর্যয়ে ঠেলে দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন দাস। দলের দুঃসময়ে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। থিতু তিনি হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দলের রানরেট এগিয়েছে কচ্ছপ গতিতে। ২০ বলে ২১ রান করে আফিফ হোসেন ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন তামিম। দলীয় ১১৭ রান আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৬৫ রান।
ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে হারিস রউফের বলে বোল্ড হোন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১২)। শেষদিকে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের ৫ ও আমিনুল ইসলামের ৮ রানের সুবাদে ১৩৬ রানে থামে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাবর।