ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র ৪ মাসে কোরআনে হাফেজ ৯ বছরের আউয়াল

ধর্ম ও জীবন :

মাত্র সাড়ে চার মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছে চাঁদপুরের নয় বছরের শিশু আব্দুল আউয়াল। শুধু তা-ই নয়, সে মেধা দেখিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাতেও। সব বিষয়ে অর্জন করেছে শতভাগ নম্বর।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভান্ডারি মহলস্থ জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আউয়াল। মেধাবী শিশুটি উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের মৌলভীবাড়ির মো. মোশারফ হোসেন (মোশারফ মাস্টার নামে পরিচিত) ও মাজেদা আক্তারের ছেলে।

এ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে আব্দুল আউয়াল বড়। তার বাবা বর্তমানে ৫৮নং পশ্চিম ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আবার এই বিদ্যালয়েই বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আউয়াল।

জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্লাহ জানিয়েছেন, আব্দুল আউয়াল মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর এক বছরের মধ্যেই নূরানী ও নাজেরা শেষ করে। পরে গত বছরের ৩১ আগস্ট হিফজ বিভাগে ক্লাস শুরু করে। এরপর ১৫ দিন ছুটিসহ মাত্র পাঁচ মাসে অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সে সফলভাবে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে ফেলে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে সে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছিল। এ হিসেবে সাড়ে চার মাসেই সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্লাহ এও বলেন, আব্দুল আউয়াল প্রথম দিকে প্রতিদিন তিন পৃষ্ঠা করে পড়া দিত। শেষদিকে এসে দিনে ছয় থেকে সাত পৃষ্ঠা করে পড়া দিতে পারত। যদিও সে এমনিতে সারাদিন খুব একটা পড়াশোনা করত না। অল্পতেই তার পড়া মুখস্থ হয়ে যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

মাত্র ৪ মাসে কোরআনে হাফেজ ৯ বছরের আউয়াল

আপডেট সময় ০২:৫০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ধর্ম ও জীবন :

মাত্র সাড়ে চার মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছে চাঁদপুরের নয় বছরের শিশু আব্দুল আউয়াল। শুধু তা-ই নয়, সে মেধা দেখিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাতেও। সব বিষয়ে অর্জন করেছে শতভাগ নম্বর।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভান্ডারি মহলস্থ জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আউয়াল। মেধাবী শিশুটি উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের মৌলভীবাড়ির মো. মোশারফ হোসেন (মোশারফ মাস্টার নামে পরিচিত) ও মাজেদা আক্তারের ছেলে।

এ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে আব্দুল আউয়াল বড়। তার বাবা বর্তমানে ৫৮নং পশ্চিম ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আবার এই বিদ্যালয়েই বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আউয়াল।

জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্লাহ জানিয়েছেন, আব্দুল আউয়াল মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর এক বছরের মধ্যেই নূরানী ও নাজেরা শেষ করে। পরে গত বছরের ৩১ আগস্ট হিফজ বিভাগে ক্লাস শুরু করে। এরপর ১৫ দিন ছুটিসহ মাত্র পাঁচ মাসে অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সে সফলভাবে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে ফেলে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে সে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছিল। এ হিসেবে সাড়ে চার মাসেই সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্লাহ এও বলেন, আব্দুল আউয়াল প্রথম দিকে প্রতিদিন তিন পৃষ্ঠা করে পড়া দিত। শেষদিকে এসে দিনে ছয় থেকে সাত পৃষ্ঠা করে পড়া দিতে পারত। যদিও সে এমনিতে সারাদিন খুব একটা পড়াশোনা করত না। অল্পতেই তার পড়া মুখস্থ হয়ে যায়।