ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সমবায় সমিতির মার্কেট নির্মাণ ও সম্পত্তি দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের অভিযোগ করে নিবন্ধক ও মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে উপজেলা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফসহ তিন ব্যক্তি।
সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমির হোসেন ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক লিজ গ্রহীতার কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে এমন কাজ করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সমবায় কর্মকর্তা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার পাশে ১৪৩ শতক পতিত জমি সমিতির সভাপতি তার নিজস্ব লোকের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৪৩ শতক পতিত জমিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ বলেন, সমিতির নিজস্ব জমি নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতীত কিভাবে একজন ব্যক্তির কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয় তা আমার জানা নেই। বিধি মোতাবেক ১৪৩ শতক জমি লিজ কোনোভাবেই দিতে পারে না। তবে ভাড়া দিতে পারবে। তাছাড়া সমবায় প্লাজার নিচতলায় ২৬টি দোকান বরাদ্দের নামে দোকান প্রতি মাসিক ভাড়া কমিয়ে চুক্তি সম্পাদনের শর্তে ১-২ লাখ টাকা হারে উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আজিজুল হক অবৈধভাবে গ্রহণ করেন।
উপজেলা সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমির হোসেন বলেন, অবৈধভাবে জমি লিজ দেয়া হয়নি। এতে সবার সম্মতি ছিল। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. শরিফ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। বাঞ্ছারামপুর ইউএনও মো. নাসির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, অভিযোগের একটি চিঠি পেয়েছি। তদন্ত চলছে।