মো: রায়হান চৌধুরী, স্টাফ রির্পোটার, মুরাদনগরঃ
রোজ বুধবার, ১৬ মার্চ ২০১৬ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ কদমতলি বাজার এর উওর পাড়া থেকে শুক্রবার দুপুরে একটি মটরসাইকেল, এক হাজার পিছ ইয়াবাসহ দু’ব্যবসায়ী হাসু মিয়াকে (৩০) ও শিপন(৩২) নব-গঠিত বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ আটক করে অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সে সময় আটককৃত ব্যবসায়ী হাসু মিয়া বি-বাড়িয়া জেলার কসবা থানার গুগিনাথপুরের কোনাপাড়া এলাকার শাহ- আলমের ছেলে। শিপন মিয়া মুরাদনগর উপজেলার হায়দ্রবাদ গ্রামের মৃত্যু লতু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, বাঙ্গরা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই নজরুল ইমলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার দুপুরে হায়দ্রাবাদের কদমতলি বাজারের উত্তর পাড়া এলাকার সড়কে অভিযান চালিয়ে একটি মটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো হ-১২-৪৩৬৯) নাম্বারের গাড়ী ও এক হাজার পিছ ইয়াবাসহ হাসু মিয়া ও লতুকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ তার বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করে অর্থের বিনিময়ে ঘটনার স্থল থেকে ছেরে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসময় উদ্ধারকৃত মটরসাইকেল ও এক হাজার পিছ ইয়াবা থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু মটরসাইকেল ও ইয়াবা আটকও উদ্ধার হওয়ার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা না হওয়া ও ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছেরে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় সাধারন মানুষদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নতুন থানা হওয়ায় মানুষের মাঝে যে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রতি ফলন হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানান। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন এতে করে পুলিশের ভাবমূর্তি চরম আকারে নষ্ঠ হচ্ছে।
এ বিষয়ে এসআই নজরুল ইমলাম ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া যাওয়ায় কোন মামলা হয়নি। তাই মটরসাইকেল ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।