খেলাধূলা :
নিরাপত্তা শঙ্কার দরুণ পাকিস্তান সফরের স্কোয়াড থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় অনেক দুয়ো-ধ্বনিও শুনতে হয়েছে তাকে। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করেই রাখলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক। ব্যাক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরিতে সমালোচকদের সমুচিত জবাব দেওয়ার সাথে সাথে দলকে এনে দিলেন বড় সংগ্রহ। তার ডাবল সেঞ্চুরির পর ১৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। টাইগাররা লিড নিয়েছে ২৯৫ রানের।
দেড়শ’র কোটা অতিক্রমে গ্যালারি থেকে দর্শকদের বাঁধ ভাঙা উল্লাস চোখে পড়লেও মুশফিকের উৎযাপন ছিল মার্জিত। সম্ভবত দ্বিশতকের জন্যই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। তবে নিজের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণের পর তার উৎযাপনটা স্বাভাবিকভাবেই বাঁধভাঙা ছিল।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ এরই মধ্যে চড়েছে রানপাহাড়ে। যার বড় অবদান মুশফিকুর রহীমের। নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি, মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির পর- তাদেরকে ছাড়িয়ে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক।
ইনিংসের শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা মুশফিক, তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে গিয়ে পৌঁছেছেন নিজের দ্বিশতকে। আইন্সলে দলুভুর অফস্টাম্পের বাইরের বলে স্কয়ার কাট করে কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
প্রায় আট ঘণ্টার কাছাকাছি সময় ব্যাট করে ৩১৫ বল মোকাবেলা করে ২৮ চারের মাধ্যমে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন মুশফিক। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার আগের দুইটি ডাবল সেঞ্চুরিই ছিলো উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। এবারই প্রথম পুরোপুরি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে দুইশ রানের গণ্ডি পেরোলেন মুশফিক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পক্ষে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যানও ছিলেন তিনি। মুশফিক ব্যতীত আর কারও নেই দুইটি দ্বিশতকের কৃতিত্ব। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান করেছেন ১টি করে ডাবল সেঞ্চুরি।