মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা):
কুমিল্লার তিতাসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সামছুদ্দিন (৪০) নামে এক প্রবাস ফেরতকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের কানু মিয়া বাড়ির সামনে রাস্তার উপর ঘটনাটি ঘটে।
আহত সামছুউদ্দিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে ঢাকা প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এজাহার ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মজিদপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আহত সামছুদ্দিন এবং একই গ্রামের মৃত মোন্তাজ মিয়ার ছেলে হোসেন ও আকবর আলীর ছেলে আনোয়ার গংদের সাথে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধর ও মামলা মোকদ্দমা বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এরই জের ধরে পাশের গ্রাম কাকিয়া খালির বিমল চন্দ্র দাসের মটর সাইকেলকে কেন্দ্র করে সামছুদ্দিনের উপর এ হামলা চালায়।
সামছুাুদ্দিনের মা ছাবেদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে পাশের গ্রামের বিমল চন্দ্র দাসের মটর সাইকেলটি চালাতে আনে। এসময় হোসেন, সাইদুল ও আনোয়ারগং মটর সাইকেলটি নিয়ে যেতে চায়, আমার ছেলে তাদেরকে না দিয়ে যার মটর সাইকেল তাকে ফেরৎ দিয়ে দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার বাড়ির ঘর ভাংচুর করে পরে ছোট ছেলে সাইফুদ্দিনের স্ত্রী শাহিনুরকে মারধর করে, আমার ছেলে খবর পেয়ে বাড়িতে আসলে হোসেন, সাইদুল ও আনোয়ারগং সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর আহত করে। এর আগেও ২০০৬ সালে আমার ছেলেকে তারা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে, আল্লাহ আমার ছেলেকে বাচিয়ে রেখেছে।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি হোসেনের ভাই বাদশা বলেন, একটি মটর সাইকেল দেওয়া নেওয়া নিয়ে প্রথমে সামসুদ্দিন ও সাইদুল,সালাউদ্দিনদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় পরে আমার চাচা সাবেক নেকবর মেম্বার গিয়ে ঝগড়াঝাটি না করার অনুরোধ করেন এবং এটার বিচার করে দিবে বলে আশ্বাস দেন। পরে শোনতে পাইলাম সামছুদ্দিনকে মারছে। কে কা কারা মারছে এটা আমরা জানি না।
এবিষয়ে মামলার আইয়ু তিতাস থানার এসআই সফিক উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আহতের ভাই সাইফুদ্দিন বাদী হয়ে মামলা রুজু করেছে। এতে আমারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।