ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের লোকসভা থেকে ৭ কংগ্রেস সদস্য বরখাস্ত

আন্তর্জাতিক :

ভারতের পার্লামেন্টে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলার অভিযোগে চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে সাত কংগ্রেস সংসদ সদস্যকে বরাখাস্ত করেছেন স্পীকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত তিন দিন ধরে ওই সাত কংগ্রেস সদস্য বিশৃঙ্খলা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আগামী সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে।

বরখাস্ত সংসদ সদস্যরা হলেন, আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে ও কালিয়াবরের সাংসদ গৌরব গগৈ, কেরলে ত্রিশূরের সাংসদ টিএন প্রথাপন, কেরল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ইডুক্কির সাংসদ দেনা কুরিয়াকোসে, কর্নাটকের বিরুধনগরের সাংসদ মানিকাম টেগোর, কেরলের কাসারগড়ের সাংসদ রাজমোহন উন্নিথন এবং অমৃতসরের সাংসদ গুরমিত সিংহ আউজলা।

জানা যায়, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিন থেকে দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবি করেন কংগ্রেস সদস্যরা। কিন্তু চলতি অধিবেশনে দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলোচনা সম্ভব না বলে জানান স্পীকার ওম বিড়লা। আগামী হোলি উৎসবের পওে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বিরোধী সদস্যরা চলতি অধিবেশনেই আলোচনার জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ফলে বাজেট অধিবেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়। কয়েকবার অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পীকার।

গত সোমবার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান করেন। সেখানে অধিবেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হলে পুনরায় বিরোধী  ও ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।

একই পরিস্থিতি বার বার তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ওই সাত সাংসদকে বরখাস্ত করেন স্পীকার।

তবে স্পীকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,‘এটা কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? মনে হচ্ছে সরকার এই অধিবেশনে দিল্লির ঘটনা নিয়ে কোনও আলোচনাই চাইছে না। আর এই সাংসদদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত স্পীকারের নয়, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত বলেও আক্রমণ করেন অধীর।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এর বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় তেতে উঠেছিল দিল্লি। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর ব্যাপক সহিংসতা চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। দাঙ্গায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ লোক।

পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই হিংসা এমন চরম আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

ভারতের লোকসভা থেকে ৭ কংগ্রেস সদস্য বরখাস্ত

আপডেট সময় ০২:২২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক :

ভারতের পার্লামেন্টে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলার অভিযোগে চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে সাত কংগ্রেস সংসদ সদস্যকে বরাখাস্ত করেছেন স্পীকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত তিন দিন ধরে ওই সাত কংগ্রেস সদস্য বিশৃঙ্খলা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আগামী সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে।

বরখাস্ত সংসদ সদস্যরা হলেন, আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে ও কালিয়াবরের সাংসদ গৌরব গগৈ, কেরলে ত্রিশূরের সাংসদ টিএন প্রথাপন, কেরল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ইডুক্কির সাংসদ দেনা কুরিয়াকোসে, কর্নাটকের বিরুধনগরের সাংসদ মানিকাম টেগোর, কেরলের কাসারগড়ের সাংসদ রাজমোহন উন্নিথন এবং অমৃতসরের সাংসদ গুরমিত সিংহ আউজলা।

জানা যায়, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিন থেকে দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবি করেন কংগ্রেস সদস্যরা। কিন্তু চলতি অধিবেশনে দিল্লির ঘটনা নিয়ে আলোচনা সম্ভব না বলে জানান স্পীকার ওম বিড়লা। আগামী হোলি উৎসবের পওে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বিরোধী সদস্যরা চলতি অধিবেশনেই আলোচনার জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ফলে বাজেট অধিবেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়। কয়েকবার অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পীকার।

গত সোমবার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান করেন। সেখানে অধিবেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হলে পুনরায় বিরোধী  ও ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।

একই পরিস্থিতি বার বার তৈরি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের ওই সাত সাংসদকে বরখাস্ত করেন স্পীকার।

তবে স্পীকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,‘এটা কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? মনে হচ্ছে সরকার এই অধিবেশনে দিল্লির ঘটনা নিয়ে কোনও আলোচনাই চাইছে না। আর এই সাংসদদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত স্পীকারের নয়, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত বলেও আক্রমণ করেন অধীর।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এর বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় তেতে উঠেছিল দিল্লি। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর ব্যাপক সহিংসতা চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। দাঙ্গায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ লোক।

পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই হিংসা এমন চরম আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।