ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রধান আসামি গ্রেফতার

হোমনা ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি জুয়েল রানাকে (২৪) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার (৪ মার্চ) গভীর রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে র‌্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত জুয়েল রানা হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল রানা জানিয়েছে- সে গত ৩ মাস যাবত ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছিল। সে ভিকটিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করত। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে জুয়েল রানা তার সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।

সে ভিকটিমকে কৌশলে মাওলানা মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলামের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। রাতভর ধর্ষণ শেষে ভোরে ভিকটিমকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

হোমনায় কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০২:৩৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

হোমনা ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি জুয়েল রানাকে (২৪) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার (৪ মার্চ) গভীর রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে র‌্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত জুয়েল রানা হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল রানা জানিয়েছে- সে গত ৩ মাস যাবত ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছিল। সে ভিকটিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করত। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে জুয়েল রানা তার সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।

সে ভিকটিমকে কৌশলে মাওলানা মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলামের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। রাতভর ধর্ষণ শেষে ভোরে ভিকটিমকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।