ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতাসের অসহায় মোসলেম মালামালসহ একমাত্র বসতঘর পুড়ে হয়ে গেলেন আরো অসহায়

কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার তিতাসের ইউসুফ গ্রামের অতিদরিদ্র দিনমজুর মোসলেম মিয়া হয়ে গেলেন আরো অসহায়। বসবাসের একমাত্র বসতঘরটি বৃহস্পতিবার মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে মোসলেম মিয়া তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, একটি মাত্র দোচালা ঘরের মধ্যে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যাকে নিয়ে বসবাস করছিল মোসলেম মিয়া। অতিদরিদ্র মোসলেম মিয়া দিনমজুর হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। তার স্ত্রীও অন্যের বাড়িতে কাজ করে স্বামীকে সহযোগিতা করে থাকেন। স্বামী-স্ত্রীর দুজনের যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে চলে তাদের ৫ সদস্যের সংসার।

স্থানীয়দের ধারনা, স্বামী ও স্ত্রী কাজে চলে গেলে, ছেলে-মেয়েরা রান্নার চুলা জ্বালিয়ে কিছু একটা রান্না করার সময় আগুন বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের মানুষ অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এরই মধ্য শেষ হয়ে যায় মোসলেম মিয়ার সব কিছু।

মোসলেম মিয়া জানান, আমি গরীব মানুষ। আমার বৌ মাঝে মাঝে অন্যের বাড়িতে কাম করে। আমার রোজগার দিয়ে কোন রকম সংসার চলে। আমার এমন অবস্থা হইবো আমি জানতাম না। আমি এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় থাকবো কার কাছে যাবো?

এদিকে বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের নজরে আনলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জেনেছি; অবশ্যয় মোসলেম মিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবে। তারপর আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবো মোসলেম মিয়ার পরিবারের পাশে থাকতে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

তিতাসের অসহায় মোসলেম মালামালসহ একমাত্র বসতঘর পুড়ে হয়ে গেলেন আরো অসহায়

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

কবির হোসেন সওদাগর, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার তিতাসের ইউসুফ গ্রামের অতিদরিদ্র দিনমজুর মোসলেম মিয়া হয়ে গেলেন আরো অসহায়। বসবাসের একমাত্র বসতঘরটি বৃহস্পতিবার মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে মোসলেম মিয়া তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, একটি মাত্র দোচালা ঘরের মধ্যে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যাকে নিয়ে বসবাস করছিল মোসলেম মিয়া। অতিদরিদ্র মোসলেম মিয়া দিনমজুর হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। তার স্ত্রীও অন্যের বাড়িতে কাজ করে স্বামীকে সহযোগিতা করে থাকেন। স্বামী-স্ত্রীর দুজনের যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে চলে তাদের ৫ সদস্যের সংসার।

স্থানীয়দের ধারনা, স্বামী ও স্ত্রী কাজে চলে গেলে, ছেলে-মেয়েরা রান্নার চুলা জ্বালিয়ে কিছু একটা রান্না করার সময় আগুন বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের মানুষ অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এরই মধ্য শেষ হয়ে যায় মোসলেম মিয়ার সব কিছু।

মোসলেম মিয়া জানান, আমি গরীব মানুষ। আমার বৌ মাঝে মাঝে অন্যের বাড়িতে কাম করে। আমার রোজগার দিয়ে কোন রকম সংসার চলে। আমার এমন অবস্থা হইবো আমি জানতাম না। আমি এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় থাকবো কার কাছে যাবো?

এদিকে বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের নজরে আনলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জেনেছি; অবশ্যয় মোসলেম মিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবে। তারপর আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবো মোসলেম মিয়ার পরিবারের পাশে থাকতে।