ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন: কাদের

জাতীয় :

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই সংকটময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মিথ্যার ফানুস ওড়াননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতার নিরিখে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মিথ্যার ফানুস ওড়াননি। তিনি অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিশ্রুতি দেননি। বাস্তবতার নিরিখে স্বাভাবিক জীবনের দরজায় কড়া নাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলার রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কাদের বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, কতিপয় মহল বা কিছু ব্যক্তি সংকট ও সম্ভবনার কথা বিশ্লেষণ না করে বরাবরের মতো ছিদ্রান্বেষণী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট নিরসনে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যেখানে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন সেখানেও তারা বিভেদের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক হিসেবে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে। বাঙালি বীরের জাতি, নানা দুর্যোগ-সংকটে বাঙালি জাতি সম্মিলিতভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা শত্রুর মোকাবেলা করে বিজয়ী হয়েছি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনাকে প্রধানতম দায়িত্ব ঘরে থাকা। আমরা সকলের প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব ইনশাল্লাহ’। ঘরে বসেই সচেতনতার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলুন। ‘

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের একজন হয়েই গণ-দায়িত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে এই সংকটের মোকাবেলা করতে চেয়েছেন। তিনি ভাষণে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সহায়তার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ৬ মাসের খাদ্য, নগদ অর্থ প্রদান এবং বিনামূল্যে ভিজিডি, ভিজিএফ ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যার দ্বারা শ্রমিক কর্মচারিদের বেতন পরিশোধ করা হবে। এই পদক্ষেপগুলো আপদকালিন এই সংকট মোকাবেলায় স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বাজারে যোগান ও চাহিদার সামঞ্জস্য রেখে অর্থনীতির সচলতা কিভাবে ধরে রাখতে হয় সেটা শেখ হাসিনা বিগত ১০ বছরে তার সরকারের সময়ে করে দেখিয়েছেন।

কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বরাবরের মতো এ দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ ও সংবেদনশীল হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ প্রদান করেছেন। দেশের জনগণের একজন হয়েই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আশা করি, দেশের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতির নেতা হিসেবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি ও বর্তমান প্রস্তুতিসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা থেকে শুরু করে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা, হাসপাতাল প্রস্তুত ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে সরকার কর্তৃক সম্পন্ন সকল কার্যক্রমের কথা তিনি তুলে ধরেছেন। অনাকাক্সিক্ষত সংকটের মুখে নিশ্চিত সমাধানে যেখানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাস মোকাবেলাকে একটি যুদ্ধ ঘোষণা করে সকলকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে এই সংকট মোকাবেলায় তার সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন: কাদের

আপডেট সময় ১০:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০

জাতীয় :

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই সংকটময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মিথ্যার ফানুস ওড়াননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতার নিরিখে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মিথ্যার ফানুস ওড়াননি। তিনি অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিশ্রুতি দেননি। বাস্তবতার নিরিখে স্বাভাবিক জীবনের দরজায় কড়া নাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলার রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কাদের বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, কতিপয় মহল বা কিছু ব্যক্তি সংকট ও সম্ভবনার কথা বিশ্লেষণ না করে বরাবরের মতো ছিদ্রান্বেষণী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট নিরসনে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যেখানে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন সেখানেও তারা বিভেদের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক হিসেবে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে। বাঙালি বীরের জাতি, নানা দুর্যোগ-সংকটে বাঙালি জাতি সম্মিলিতভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা শত্রুর মোকাবেলা করে বিজয়ী হয়েছি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনাকে প্রধানতম দায়িত্ব ঘরে থাকা। আমরা সকলের প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব ইনশাল্লাহ’। ঘরে বসেই সচেতনতার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলুন। ‘

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের একজন হয়েই গণ-দায়িত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে এই সংকটের মোকাবেলা করতে চেয়েছেন। তিনি ভাষণে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সহায়তার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ৬ মাসের খাদ্য, নগদ অর্থ প্রদান এবং বিনামূল্যে ভিজিডি, ভিজিএফ ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যার দ্বারা শ্রমিক কর্মচারিদের বেতন পরিশোধ করা হবে। এই পদক্ষেপগুলো আপদকালিন এই সংকট মোকাবেলায় স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বাজারে যোগান ও চাহিদার সামঞ্জস্য রেখে অর্থনীতির সচলতা কিভাবে ধরে রাখতে হয় সেটা শেখ হাসিনা বিগত ১০ বছরে তার সরকারের সময়ে করে দেখিয়েছেন।

কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বরাবরের মতো এ দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ ও সংবেদনশীল হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ প্রদান করেছেন। দেশের জনগণের একজন হয়েই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আশা করি, দেশের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতির নেতা হিসেবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি ও বর্তমান প্রস্তুতিসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা থেকে শুরু করে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা, হাসপাতাল প্রস্তুত ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে সরকার কর্তৃক সম্পন্ন সকল কার্যক্রমের কথা তিনি তুলে ধরেছেন। অনাকাক্সিক্ষত সংকটের মুখে নিশ্চিত সমাধানে যেখানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাস মোকাবেলাকে একটি যুদ্ধ ঘোষণা করে সকলকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে এই সংকট মোকাবেলায় তার সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।’