মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকান্ডের দশ দিন পর আদালতের নির্দেশে ডিএনএ আলামত সংগ্রহ ও পুন:ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
বুধবার সকাল পোনে ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর নাহারের উপস্থিতিতে তনুর লাশ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর পারিবারিক কবরস্থান থেকে বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে লাশ উত্তোলন করে। এ সময় সোহাগীর লাশ উত্তোলন শেষে ঘটনার স্থলেই সিআইডি ও ডিবি পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে। পরে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সযোগে সোহাগীর লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করার কথা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খাঁন, কুমিল্লা-বি (মুরাদনগর) সার্কেল ইকবাল হোসেন হাজারী, মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডি) ওসি গাজী মো: ইব্রাহীম, কুমিল্লার গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ওসি একেএম মঞ্জুরুল আলম, মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, তদন্ত ফকা চৌধুরী, বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন, তনুর বাবা মো: ইয়ার হোসেন ও ভাই নাজমুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে লাশ উত্তোলনের খবরে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার উৎসুক জনতা কবরের আশেপাশে ভিড় জমায় এবং সোহাগী জাহান তনুর হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে।
এ সময় কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: শাহ আবিদ হোসেন এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন, সাগর-রুমি হত্যার মতো দ্বিতীয় হত্যা ও দ্বিতীয় জজমিয়া তৈরি হবেনা এং এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মঞ্জুরুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিকালে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম জয়নাব বেগম কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ আলামত সংগ্রহ ও পুন:ময়নাতদন্ত করার জন্য আদেশ দেন।