মো. তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় ( হোমনা-মেঘনা) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম এর নেতৃত্বে হোমনা থানার এসআই সুনীল চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার ১৫ এপ্রিল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা হলো- উপজেলার হোমনা পশ্চিম পাড়া সরকার বাড়ির মৃত বাহাদুর সরকারের ছেলে বশির সরকার(২৪), হোমনা পশ্চিম পাড়ার রামপদ চন্দ্র দাসের ছেলে নসিমন চালক সৌরভ কুমার দাস(২০), ভঙ্গারচর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে আলী আকবর(২০), উলুকান্দি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে নয়ন(১৯), বাবরকান্দি গ্রামের মো. আব্দু মিয়ার ছেলে জীবন(৩০), ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত রমিজ মিয়ার ছেলে মুক্তার হোসেন (৩০)।
এবিষয়ে
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত
বুধবার সাড়ে ১১ টার দিকে প্রাণ, গোল্ডেন এবং শামা রেজার কোম্পানির একটি
গাড়ি হোমনা- গৌরিপুর রোড ও বশির উল্লাহর মাজার রোডের সংযোগ স্হলে
পৌঁছামাত্র ৩ জন অপরিচিত ব্যক্তি লাঠি হাতে সিগনাল দিয়ে গাড়ি থামায় এবং
চালক ও ডিএসআর মো.আকাশকে জোরপূর্বক বশির উল্লাহ মাজার রোডে নিয়ে যায়।
সেখানে আরো ০৪ জন ডাকাত মাস্ক পরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল।
এরপর
একজন ডাকাত ডিএসআর আকাশকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে টাকা ভর্তি সাইড ব্যাগ ও ০২
টি মোবাইল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তার শোর চিৎকারে আশেপাশের
লোকজন ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে বেলা
অনুমান সাড়ে ১২ টার দিকে একজন ব্যক্তি মোবাইলে ফোনে আমাকে জানান স্যার,
ওপারচর গ্রামে বশির উল্লাহ মাজার রোডে ডাকাতি হয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে
সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপস্হিত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক
পর্যায়ে ০২ জনের নাম ঠিকানা পাই। প্রথমে সন্দেহ ভাজন নসিমনের ড্রাইভার
সৌরব কুমার কে নিয়ে সারাদিন অভিযান চালিয়ে আরো ০৫জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম
হই। সেই সাথে ডাকাতির ১১ হাজার ৫শ’ টাকা, সাইড ব্যাগ ও ০২ টি মোবাইল
উদ্ধার করি । প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায়
তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানীর ডিএসআর আকাশ বাদী হয়ে ড্রাইভার সহ ০৬ জনকে আসামী
করে হোমনা থানায় ডাকাতির মামলা করেছে। আগামী কাল সকালে আসামীদের আদালতের
মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এ সময় হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মো.আবুল কায়েস আকন্দ,ওসি (তদন্ত) আমিনুল রসুল, এস আই সুনীল চন্দ্র উপস্থিত
ছিলেন।