শাহ আলম জাহাঙ্গীর, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজার ও বাখরাবাদ গ্রামে গত ২ দিনে ২৭ জনকে পাগলা কুকুর কামড়িয়ে আহত করেছে।
এর মধ্যে গুরুতর আহতদের মধ্যে রামচন্দ্রপুর বাজার পাড়ার গাদ্দাফীর মেয়ে রাত্রি (৫), রাজমিস্ত্রি হেলাল (১৬), বাখরাবাদের গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেনের শিশু কন্যা আমেনা( ৫), সুনীল (৪০), পাঁচকিত্তা বাজারের রঞ্জিত চন্দ্র দাস (৪০), রামচন্দ্রপুরের শ্রমিক মহসিন মিয়া (৪০) ও মৌসুমির বোন এক সন্তানের জননী(২২)।
রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মী রাজীব হোসাইন বাবু ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার(৩ জুন) ও আজ বৃহস্পতিবার (৪জুন) দুপুর পর্যন্ত ২৭ জন ব্যক্তিকে কয়েকটি পাগলা কুকুর কামড়িয়ে আহত করে
আহতদের মধ্যে অনেকেই শ্রমজীবী দরিদ্র দিনমুজুর। করোনার এ সংকটে এমনিতেই ওরা বেকার শ্রমহীন। এরি মধ্যে কুকুরে কামড়ে দিয়েছে। পয়সার অভাবে সুষ্ঠু চিকিৎসা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন কুকুরের কামড়ে আহত অনেক শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষ।সময়মত সঠিক চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে কুকুরে কামড়ে দেয়া শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষদের আশঙ্কা।
পাগলা কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে রামচন্দ্রপুর এলাকাবাসী আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে হামলাকারী ২ টি পাগলা কুকুরকে হত্যা করেছে। এলাকায় আরো পাগলা কুকুর আছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। রামচন্দ্রপুর বাজার ও আশেপাশে এলাকার পাগলা কুকুরগুলো শিগগির নিধন করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।