ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ

উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা, তার ব্যবসায়ী ভাই ও মৎস্য খামার কর্মচারীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানি করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দি বাজারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছামাদ মাঝির সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজের উপস্থাপনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার ভৌমিক, সমাজ সেবক ছিদ্দিক হোসেন মাস্টার, মঞ্জুরুল আলম সরকার, সাবেক মেম্বার কাজী সেলিম সরকার ও জোহর আহম্মেদ প্রমুখ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলাম মেম্বার, ব্যবসায়ী রাসেল ভুইয়া, আবু ইউসুফ ওরফে মনির হোসেন, লিটন মিয়া, মাস্টার সঞ্জিত চন্দ্র বিশ্বাস, আবু ইউসুফ ওরফে জাকির হোসেন, সমাজ সেবক তফাজ্জল হোসেন, নুরুন নবী, হাজী জয়নাল আবেদীন ও নুরুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

ভূক্তভোগি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন, আমি একজন মৎস্য চাষী। সুরানন্দি গ্রামের নবী নেওয়াজের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী শাহপরান আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাদঁা চায়। চাদঁা না দেওয়ায় তার স্ত্রী লাকি বেগমকে দিয়ে গত ২৫ জুন আমার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে জুলু মিয়াসহ আমার বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে। ওই মামলায় আমরা আদালত থেকে জামিনে আসি। এখানে সে ব্যর্থ হয়ে এলাকার কয়েকজন কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আবার ১৬ জুলাই কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ৩নং আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আরেকটি মিথ্যা মামলা করেন। এ মামলায় আমার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে জুলু মিয়া ৫ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হন। এখন মামলার বাদী লাকি বেগম ও তার স্বামী শাহপরান লোক মারফত আমার কাছে খবর পাঠান মোটা অংকের টাকা দিলে মামলা তুলে নিবে।

মাদক মামলায় ৬ মাসের কারাভোগকারী শাহপরান ও তার স্ত্রী লাকি বেগম আমাদেরকে অহেতুক বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়পুর ইউনিয়নে কোন সামাজিক দ্বন্দ নেই। শাহপরান শহর থেকে গ্রামে আসার পর মাদক, জুয়া ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের হয়রানি করছেন। যাতে করে ভয়ে তার মাদক ব্যবসা বাধঁা হয়ে না দাড়ঁায়। এ পরিবারটিকে যেখানে আইনের হাতে তুলে দেওয়া দরকার, সেখানে কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতংকের মধ্যে আছে এবং গ্রামের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ মাঝি বলেন, আইন যদি আইনের গতিতে চলে তাহলে প্রত্যাশিত সুবিচার পাওয়া যায়। যখনি কচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আইনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে তখনিই সম্মানী মানুষ হয়রানির শিকার হয়। আব্দুল করিম একজন পরিচ্ছন্ন আওয়ামীলীগ নেতা এবং সফল মৎস্য ব্যবসায়ী। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যেমন আইন লংঘন হয়েছে, তেমনি কাজটি হয়েছে ঘৃনীত ও নিন্দনীয়। ইতপূর্বে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা পাহাড়পুর ইউনিয়নে ঘটে নাই। আমি এ ইউনিয়নের সকলকে বিনয়ের সহিত বলতে চাই, যদি আর কোন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়, তাহলে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব।

মানববন্ধনে অভিযোগ আনা শাহপরানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

আপডেট সময় ১২:৩২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ

উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা, তার ব্যবসায়ী ভাই ও মৎস্য খামার কর্মচারীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানি করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দি বাজারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছামাদ মাঝির সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজের উপস্থাপনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার ভৌমিক, সমাজ সেবক ছিদ্দিক হোসেন মাস্টার, মঞ্জুরুল আলম সরকার, সাবেক মেম্বার কাজী সেলিম সরকার ও জোহর আহম্মেদ প্রমুখ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নুরুল ইসলাম মেম্বার, ব্যবসায়ী রাসেল ভুইয়া, আবু ইউসুফ ওরফে মনির হোসেন, লিটন মিয়া, মাস্টার সঞ্জিত চন্দ্র বিশ্বাস, আবু ইউসুফ ওরফে জাকির হোসেন, সমাজ সেবক তফাজ্জল হোসেন, নুরুন নবী, হাজী জয়নাল আবেদীন ও নুরুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

ভূক্তভোগি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন, আমি একজন মৎস্য চাষী। সুরানন্দি গ্রামের নবী নেওয়াজের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী শাহপরান আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাদঁা চায়। চাদঁা না দেওয়ায় তার স্ত্রী লাকি বেগমকে দিয়ে গত ২৫ জুন আমার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে জুলু মিয়াসহ আমার বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে। ওই মামলায় আমরা আদালত থেকে জামিনে আসি। এখানে সে ব্যর্থ হয়ে এলাকার কয়েকজন কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আবার ১৬ জুলাই কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ৩নং আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আরেকটি মিথ্যা মামলা করেন। এ মামলায় আমার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে জুলু মিয়া ৫ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হন। এখন মামলার বাদী লাকি বেগম ও তার স্বামী শাহপরান লোক মারফত আমার কাছে খবর পাঠান মোটা অংকের টাকা দিলে মামলা তুলে নিবে।

মাদক মামলায় ৬ মাসের কারাভোগকারী শাহপরান ও তার স্ত্রী লাকি বেগম আমাদেরকে অহেতুক বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়পুর ইউনিয়নে কোন সামাজিক দ্বন্দ নেই। শাহপরান শহর থেকে গ্রামে আসার পর মাদক, জুয়া ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের হয়রানি করছেন। যাতে করে ভয়ে তার মাদক ব্যবসা বাধঁা হয়ে না দাড়ঁায়। এ পরিবারটিকে যেখানে আইনের হাতে তুলে দেওয়া দরকার, সেখানে কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতংকের মধ্যে আছে এবং গ্রামের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ মাঝি বলেন, আইন যদি আইনের গতিতে চলে তাহলে প্রত্যাশিত সুবিচার পাওয়া যায়। যখনি কচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আইনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে তখনিই সম্মানী মানুষ হয়রানির শিকার হয়। আব্দুল করিম একজন পরিচ্ছন্ন আওয়ামীলীগ নেতা এবং সফল মৎস্য ব্যবসায়ী। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যেমন আইন লংঘন হয়েছে, তেমনি কাজটি হয়েছে ঘৃনীত ও নিন্দনীয়। ইতপূর্বে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা পাহাড়পুর ইউনিয়নে ঘটে নাই। আমি এ ইউনিয়নের সকলকে বিনয়ের সহিত বলতে চাই, যদি আর কোন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়, তাহলে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব।

মানববন্ধনে অভিযোগ আনা শাহপরানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।