ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ভূয়া চক্ষু ডাক্তার আটক

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সনদ দেখাতে না পারায় এক ভুয়া চক্ষু ডাক্তারকে এক বছরের জেল ও ওই ক্লিনিক মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভুয়া ডাক্তার আফজাল হোসাইন এবং হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেন। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চরনারান্দি এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে আফজাল হোসেন ও হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেন কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার চার কুরিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাফিসা নাজ নীরা জানান, অনেক দিন ধরে উপজেলার বাঞ্ছরামপুর চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রে ভুয়া চক্ষু ডাক্তার মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুরে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া আফজাল হোসাইন ও হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়। আফজাল হোসেনের ডাক্তারি কোন সনদপত্র নেই। নূন্যতম এমবিবিএস ছাড়া কেউ প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার লিখতে পারেন না। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ মেডিক‌্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় আফজাল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু, আহত ৩

বাঞ্ছারামপুরে ভূয়া চক্ষু ডাক্তার আটক

আপডেট সময় ০৪:২৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সনদ দেখাতে না পারায় এক ভুয়া চক্ষু ডাক্তারকে এক বছরের জেল ও ওই ক্লিনিক মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভুয়া ডাক্তার আফজাল হোসাইন এবং হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেন। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চরনারান্দি এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে আফজাল হোসেন ও হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেন কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার চার কুরিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাফিসা নাজ নীরা জানান, অনেক দিন ধরে উপজেলার বাঞ্ছরামপুর চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রে ভুয়া চক্ষু ডাক্তার মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুরে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া আফজাল হোসাইন ও হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়। আফজাল হোসেনের ডাক্তারি কোন সনদপত্র নেই। নূন্যতম এমবিবিএস ছাড়া কেউ প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার লিখতে পারেন না। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ মেডিক‌্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় আফজাল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী হাসপাতালের মালিক আলমগীর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।