ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

জাতীয় ডেস্কঃ

নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ২০ জন। এর আগে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন- রাসেল (৩৪), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০) ও মাইনুদ্দিন (১২)। নিহত ১৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থশংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে একাধিক এসির। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকে মুসল্লীরা। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লীদের আত্মচিৎকার।

পরে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের অনেকের শরীরের কাপড় ছিল না। আগুনে পুড়ে যায় শরীরের কাপড়গুলো। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

আপডেট সময় ০২:৪২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

জাতীয় ডেস্কঃ

নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ২০ জন। এর আগে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন- রাসেল (৩৪), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০) ও মাইনুদ্দিন (১২)। নিহত ১৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থশংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে একাধিক এসির। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকে মুসল্লীরা। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লীদের আত্মচিৎকার।

পরে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের অনেকের শরীরের কাপড় ছিল না। আগুনে পুড়ে যায় শরীরের কাপড়গুলো। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।