মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকেঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ২ সন্তানের জননীর পলায়নের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভাষানিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে।
গত ৭ আগষ্ট ভাষানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম এর ভাগিনা রঘুনাথপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মোল্লার পুত্র মোঃ আনিছুর রহমান নিষাদ একই গ্রামের অরুন মিয়ার মেয়ে ২ সন্তানের জননী মৌসুমি আক্তার বর্ষা কে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানাগেছে, নিষাদ কলেজে লেখা পড়া করার সময় চট্রগ্রামের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে জোর করে বিয়ে করা সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সে জড়িত। এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে। এলাকায় তার মামা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম এর নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ্য দিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছিল।
এলাকাবাসী জানায়, মৌসুমী আক্তার বর্ষা একজন চরিত্রহীনা ও দুশ্চরিত্রা মহিলা সে তার রূপ যৌবন দেখিয়ে যুবকদের মাথা পাগল করে দিতো। এই সুবাধে নিষাদের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের সৃষ্টি হয় মৌসুমী আক্তার বর্ষার। তাদের এই অবৈধ সম্পর্ক ধরে চলে আসছিল। এই পরকীয়া প্রেমের কথাটি এলাকাবাসী ও উভযের পরিবারে জানাজানি হলে প্রেমিক নিষাদের হাত ধরে ২টি শিশু সন্তান রেখে বিবাহিত নিষাদের সাথে পালিয়ে যায় মৌসুমী আক্তার বর্ষ। এ নিয়ে মানুষের মাঝে নানা গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। এলাকার লোক মুখে মুখে শুধু আলোচনা।
এলাকার লোকজন বলছেন, এ কেমন মা যে মা ২ টি শিশু সন্তান কে মায়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত করল সে মা নয়, মা নামে কলংক। তারা কাকে মা ডাকবে। ২টি সন্তান এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ভাষানিয়া ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পরকিয়া প্রেমিক ও প্রেমিকার পালিয়ে বিবাহের মধ্য দিয়ে নিষাদ ২য় ও মৌসুমী আক্তার বর্ষার ৫ম বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ২ সন্তানের জননী মৌসুমী আক্তার বর্ষা ইতিপূর্বে ৪ বার তালাকপ্রাপ্তা। নিষাদের সাথে পালিয়ে বিবাহের পর ৫ম বিবাহে পা রাখে সে।
নিষাদ ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডার তার মাস্তানি, চাদাবাজিতে অতিষ্ঠ রঘুনাথপুর আশেপাশের গ্রাম। এদিকে চারবার তালাকপ্রাপ্তা বর্ষাকে নিয়ে পলায়ন করায় নিষাদ বর্ষা জুটি নিয়ে তোলপাড় চলছে ভাষানিয়া ইউনিয়ন জুড়ে!