ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় আদর্শ কৃষক লাল মিয়া

তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লায় হোমনা ধানের ভালো বীজ তৈরি করে কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন আদর্শ কৃষক লাল মিয়া। শুধু ধানের বীজ উৎপাদনই নয়, নানা সময়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বন্ধু হয়ে উঠেছেন তিনি।

প্রতিবছরই কয়েক মেট্রিক টন বোরো ধানের মানসম্মত বীজ উৎপাদন করে বোরো ধান উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন লাল মিয়া। তাঁকে অনুসরণ করে উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষক বোরো ধানের বীজ উৎপাদন করছেন, যা দিয়ে পুরো উপজেলার বোরোচাষিদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে।

পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি লাল মিয়া। সংসারে সচ্ছলতা আনতে ১৯৮২ সালে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্য আর বদল হয়নি। ভালো কাজ না পেয়ে চার-পাঁচ মাস পরই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। বিদেশে থাকাকালীন সিদ্ধান্ত নেন, দেশে ফিরে ভালোভাবে কৃষিকাজ করবেন। সেই থেকে শুরু করেছেন কৃষিকাজ। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লাল মিয়াকে। তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন, পথ দেখাচ্ছেন অন্যদের।

লাল মিয়ার বীজের সুনাম রয়েছে হোমনা তথা সারা দেশেই। শুরুর কথা: দরিদ্র পরিবারে জন্ম লাল মিয়ার। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে ২০০৫ সালে দুই বিঘা জমি ভাগে নিয়ে যৌথ সংসার থেকে পৃথক হয়ে যান লাল মিয়া। দুই বিঘা জমির সঙ্গে আরও তিন-চার বিঘা জমি পত্তন নিয়ে ধান চাষ করতে লাগলেন তিনি। পরিশ্রম, আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার আর সময়মতো পরিচর্যা—এভাবে সাফল্য ঘরে নিয়ে আসেন লাল মিয়া। ধানের বাম্পার ফলনে তাঁর চোখ-মুখ আনন্দে ভরে ওঠে। ১০ বছর আগে থেকেই খোলা বাজারে ধানের বীজ বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। ভালো ধান উৎপাদন করতে পারেন বলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বীজবিক্রেতারা লাল মিয়ার কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে বীজ কিনতেন। কৃষিতে তাঁর সাফল্যের কথা জেনে একদিন সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার হাজির হলেন লাল মিয়ার উঠানে। কৃষিমন্ত্রী তাঁকে আরও এগিয়ে যাওয়া প্রেরণা দিলেন। গত বছর ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ এ দুই জাতের মোট চার মেট্রিক টন বীজধান উৎপাদন করেছেন তিনি। এ বছর পাঁচ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন করেন। বীজ প্যাকেটজাত করতে স্থানীয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতা করছে। লাল মিয়ার উৎপাদিত বীজ থেকে শতকরা ৯৬ ভাগ চারা উৎপাদিত হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। প্রশিক্ষণ: ভালো ধান উৎপাদন করতে পারায় লাল মিয়াকে ২০০৬ সালে হোমনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার উদ্যোগে গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চার দিনের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে আবারও কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় লাল মিয়াকে। প্রশিক্ষণে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় তাঁকে। বীজ সংরক্ষণ: জমি থেকে ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে তা মাড়াই করতে হয়। মাড়াই শেষে ধানগুলো রোদে শুকাতে হয়। শুকানো হয়ে গেলে বস্তায় ভরে রাখতে হয় যাতে কোনো বাতাস ঢুকতে না পারে। সেই বস্তায় যেন পোকার আক্রমণ না হয়, সে জন্য এক ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন তিনি।

বোরো মৌসুম শুরুর আগে বস্তায় প্যাকেট করে বাজারজাত করা হয়। বাজারজাতকরণ: এক সময় লাল মিয়া দেশের পাইকারদের কাছে বীজ বিক্রি করতেন। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্যাকেট করে বীজ বিক্রি করছেন। বাজারে এ বীজ বিক্রি করার আগে বিএডিসির মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়। আর বীজ বিক্রিতে এ বছরই লাল মিয়া সরকারের অনুমোদন (লাইসেন্স) পেয়েছেন।

কৃষককে পরামর্শ: লাল মিয়ার সাফল্য দেখে এলাকার কৃষকেরা নানা পরামর্শের জন্য লাল মিয়ার কাছে যান। কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান চাষ করতে কোনো সমস্যা অইলে লাল মিয়া ভাইয়ের কাছে এলাকার কৃষকেরা চইলা আইয়ে। হের পরামর্শ লইয়া আমরাও ভালা ধান পাইতাছি।’ শুধু আশপাশের নয়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকেও কৃষকেরা লাল মিয়ার কাছে আসেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কথা: হোমনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘২০১৩ সালে হোমনা উপজেলায় এসে বোরো ধানের মাঠ পরিদর্শন করে আমি বিস্মিত হয়েছি। অজপাড়াগাঁয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে বোরো চাষ দেখে আমার মন ভরে গেল। ফলনও দেখি উঁচু মানের। মাঠে থেকেই খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম এই জমির চাষি দড়িচর গ্রামের লাল মিয়া। সেদিন লাল মিয়া আমাকে বললেন, বাইরের পাইকারদের কাছে ৬-৭ বছর ধরে বোরো ধানের বীজ বিক্রি করছেন। তাঁর বীজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলাম অত্যন্ত উঁচু মানের। লাল মিয়া শুধু বোরো বীজ উৎপাদনেই পারদর্শী নন, আমন চাষেও সাফল্য ঘরে তুলেছেন তিনি।

এ ছাড়া অন্যান্য ফসলের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণেও পারদর্শী হয়েছেন তিনি। লাল মিয়ার একটা বড় গুণ হলো, তিনি নতুন কিছু করতে চান। ধান চাষ নিয়ে তিনি সব সময়ই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। রোপা আমন চাষ করে প্রতি বিঘায় ৮০০ কেজি ধান উৎপাদন করছেন।’ লাল মিয়া বললেন, ‘কৌশল, কর্মপদ্ধতি জানা থাকলে সেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরিশ্রম করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের কৃষককে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দিলে ধান চাষে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটবে। অনেকেই বলে, ধান চাষে উৎপাদন খরচ বেশি হয়, কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে উৎপাদন খরচ অনেকাংশেই কম হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

হোমনায় আদর্শ কৃষক লাল মিয়া

আপডেট সময় ০৬:০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লায় হোমনা ধানের ভালো বীজ তৈরি করে কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন আদর্শ কৃষক লাল মিয়া। শুধু ধানের বীজ উৎপাদনই নয়, নানা সময়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সাধারণ কৃষকের বন্ধু হয়ে উঠেছেন তিনি।

প্রতিবছরই কয়েক মেট্রিক টন বোরো ধানের মানসম্মত বীজ উৎপাদন করে বোরো ধান উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন লাল মিয়া। তাঁকে অনুসরণ করে উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষক বোরো ধানের বীজ উৎপাদন করছেন, যা দিয়ে পুরো উপজেলার বোরোচাষিদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে।

পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি লাল মিয়া। সংসারে সচ্ছলতা আনতে ১৯৮২ সালে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্য আর বদল হয়নি। ভালো কাজ না পেয়ে চার-পাঁচ মাস পরই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। বিদেশে থাকাকালীন সিদ্ধান্ত নেন, দেশে ফিরে ভালোভাবে কৃষিকাজ করবেন। সেই থেকে শুরু করেছেন কৃষিকাজ। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লাল মিয়াকে। তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন, পথ দেখাচ্ছেন অন্যদের।

লাল মিয়ার বীজের সুনাম রয়েছে হোমনা তথা সারা দেশেই। শুরুর কথা: দরিদ্র পরিবারে জন্ম লাল মিয়ার। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে ২০০৫ সালে দুই বিঘা জমি ভাগে নিয়ে যৌথ সংসার থেকে পৃথক হয়ে যান লাল মিয়া। দুই বিঘা জমির সঙ্গে আরও তিন-চার বিঘা জমি পত্তন নিয়ে ধান চাষ করতে লাগলেন তিনি। পরিশ্রম, আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার আর সময়মতো পরিচর্যা—এভাবে সাফল্য ঘরে নিয়ে আসেন লাল মিয়া। ধানের বাম্পার ফলনে তাঁর চোখ-মুখ আনন্দে ভরে ওঠে। ১০ বছর আগে থেকেই খোলা বাজারে ধানের বীজ বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। ভালো ধান উৎপাদন করতে পারেন বলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বীজবিক্রেতারা লাল মিয়ার কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে বীজ কিনতেন। কৃষিতে তাঁর সাফল্যের কথা জেনে একদিন সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার হাজির হলেন লাল মিয়ার উঠানে। কৃষিমন্ত্রী তাঁকে আরও এগিয়ে যাওয়া প্রেরণা দিলেন। গত বছর ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ এ দুই জাতের মোট চার মেট্রিক টন বীজধান উৎপাদন করেছেন তিনি। এ বছর পাঁচ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন করেন। বীজ প্যাকেটজাত করতে স্থানীয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতা করছে। লাল মিয়ার উৎপাদিত বীজ থেকে শতকরা ৯৬ ভাগ চারা উৎপাদিত হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। প্রশিক্ষণ: ভালো ধান উৎপাদন করতে পারায় লাল মিয়াকে ২০০৬ সালে হোমনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার উদ্যোগে গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চার দিনের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে আবারও কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় লাল মিয়াকে। প্রশিক্ষণে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় তাঁকে। বীজ সংরক্ষণ: জমি থেকে ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে তা মাড়াই করতে হয়। মাড়াই শেষে ধানগুলো রোদে শুকাতে হয়। শুকানো হয়ে গেলে বস্তায় ভরে রাখতে হয় যাতে কোনো বাতাস ঢুকতে না পারে। সেই বস্তায় যেন পোকার আক্রমণ না হয়, সে জন্য এক ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন তিনি।

বোরো মৌসুম শুরুর আগে বস্তায় প্যাকেট করে বাজারজাত করা হয়। বাজারজাতকরণ: এক সময় লাল মিয়া দেশের পাইকারদের কাছে বীজ বিক্রি করতেন। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্যাকেট করে বীজ বিক্রি করছেন। বাজারে এ বীজ বিক্রি করার আগে বিএডিসির মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়। আর বীজ বিক্রিতে এ বছরই লাল মিয়া সরকারের অনুমোদন (লাইসেন্স) পেয়েছেন।

কৃষককে পরামর্শ: লাল মিয়ার সাফল্য দেখে এলাকার কৃষকেরা নানা পরামর্শের জন্য লাল মিয়ার কাছে যান। কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান চাষ করতে কোনো সমস্যা অইলে লাল মিয়া ভাইয়ের কাছে এলাকার কৃষকেরা চইলা আইয়ে। হের পরামর্শ লইয়া আমরাও ভালা ধান পাইতাছি।’ শুধু আশপাশের নয়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকেও কৃষকেরা লাল মিয়ার কাছে আসেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কথা: হোমনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘২০১৩ সালে হোমনা উপজেলায় এসে বোরো ধানের মাঠ পরিদর্শন করে আমি বিস্মিত হয়েছি। অজপাড়াগাঁয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে বোরো চাষ দেখে আমার মন ভরে গেল। ফলনও দেখি উঁচু মানের। মাঠে থেকেই খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম এই জমির চাষি দড়িচর গ্রামের লাল মিয়া। সেদিন লাল মিয়া আমাকে বললেন, বাইরের পাইকারদের কাছে ৬-৭ বছর ধরে বোরো ধানের বীজ বিক্রি করছেন। তাঁর বীজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলাম অত্যন্ত উঁচু মানের। লাল মিয়া শুধু বোরো বীজ উৎপাদনেই পারদর্শী নন, আমন চাষেও সাফল্য ঘরে তুলেছেন তিনি।

এ ছাড়া অন্যান্য ফসলের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণেও পারদর্শী হয়েছেন তিনি। লাল মিয়ার একটা বড় গুণ হলো, তিনি নতুন কিছু করতে চান। ধান চাষ নিয়ে তিনি সব সময়ই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। রোপা আমন চাষ করে প্রতি বিঘায় ৮০০ কেজি ধান উৎপাদন করছেন।’ লাল মিয়া বললেন, ‘কৌশল, কর্মপদ্ধতি জানা থাকলে সেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরিশ্রম করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের কৃষককে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দিলে ধান চাষে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটবে। অনেকেই বলে, ধান চাষে উৎপাদন খরচ বেশি হয়, কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে উৎপাদন খরচ অনেকাংশেই কম হয়।