ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয় ডেস্ক:

দেশে আরও ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকেই অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। জাতির পিতার যে স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় তিনি নতুন করে আরও ইকোনোমিক জোন করার ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, অগণতান্ত্রিক ধারার সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই স্বাধীন দেশ হওয়ার পরও উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীন দেশ হয়েও বহির্বিশ্বের কাছে হাত পাতা, খুবই লজ্জাজনক অধ্যায় ছিল। যেহেতু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ছিল না, হত্যা কু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল এবং স্বৈরশাসকরা বার বার ক্ষমতা এসেছিল, ওই ক্ষমতাটা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বন্দি ছিল। যে কারণে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকেনি। সেখান থেকে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি, এজন্য উন্নয়নের ধারা সচল হয়েছে। সাধারণ মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একশটি ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এর বাইরে আরো ইকোনমিক জোন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তরুণরা যেন বিদেশে না গিয়ে দেশেই চাকরি পেতে পারে সে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ইউনিয়নভিত্তিক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিকল্পনাগুলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

আরও ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

জাতীয় ডেস্ক:

দেশে আরও ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকেই অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। জাতির পিতার যে স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় তিনি নতুন করে আরও ইকোনোমিক জোন করার ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, অগণতান্ত্রিক ধারার সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই স্বাধীন দেশ হওয়ার পরও উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীন দেশ হয়েও বহির্বিশ্বের কাছে হাত পাতা, খুবই লজ্জাজনক অধ্যায় ছিল। যেহেতু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ছিল না, হত্যা কু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল এবং স্বৈরশাসকরা বার বার ক্ষমতা এসেছিল, ওই ক্ষমতাটা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বন্দি ছিল। যে কারণে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকেনি। সেখান থেকে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি, এজন্য উন্নয়নের ধারা সচল হয়েছে। সাধারণ মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একশটি ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এর বাইরে আরো ইকোনমিক জোন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তরুণরা যেন বিদেশে না গিয়ে দেশেই চাকরি পেতে পারে সে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ইউনিয়নভিত্তিক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিকল্পনাগুলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।