লাইফস্টাইল ডেস্ক:
অনেকেই ঘুম থেকে উঠে সকাল শুরু করেন চায়ের কাপে চুমুকের সঙ্গে। কিন্তু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই খালি পেটে চা পানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলে এবং খুব সহজেই বড় আকার ধারণ করতে পারে।
পক্ষান্তরে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে ক্যান্সারের মত মরণব্যাধিও হতে পারে। যার কোনো নিশ্চিত চিকিৎসা এখনও নেই। কাজেই যতটুকু সম্ভব শুরু থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কুসুম গরম পানিতে একটু লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন। কেউ চান পেটের মেদ কমাতে; আবার অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমানোর জন্যই এই পন্থা অনুসরণ করে থাকেন।
লেবুর তৈরি পানীয় প্রায় সকলের কাছেই অনেক পছন্দের একটি ক্লান্তিনাশক হিসেবে কাজ করে। গরমে অতিরিক্ত ঘেমে বাসায় ফিরে প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে এক গ্লাস লেবু পানি। সাথে কেউ আবার চিনি, লবণও মেশাতে পছন্দ করেন। তবে অনেকেরই অজানা, একটু পরিবর্তন এনেই লেবু পানিকে চমৎকারভাবে নিজের সুস্বাস্থ্য বহাল রাখায় ব্যবহার করা সম্ভব।
সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই-চামচ লেবুর রস এবং এক-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। হালকা নেড়ে দিয়ে পান করতে হবে গরম থাকা অবস্থাতেই। কোনোভাবেই একদম ঠাণ্ডা করে ফেলা যাবে না। গরম পানি মেদ কমাতে, লেবুর রস পাকস্থলী পরিষ্কার করতে, এবং মধু হজমে সহায়তা করে; যদিও মধুর গুণাবলি এই সবেই সীমাবদ্ধ নয়। মধু একাধারে ঘুম ভাল করতে সহায়তা করে, পাকস্থলী সংক্রমণ রোধে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে, হাড়ের ক্ষয়রোধে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে, মনোযোগ বাড়ায়, এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। তাছাড়াও লেবু যকৃতে চর্বি এবং ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স কমিয়ে আনে। রক্তের চর্বি এবং শর্করা কমায়। সেই সাথে ওজন কমতে সহায়তা করে। কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন-সি থাকায় লেবু দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকারক। তাই, লেবু পানি পান করলে অবশ্যই কুলি করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।