ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে ভাঙার চক্রান্ত চলছে, কঙ্গনার দাবিতে তোলপাড়

বিনোদন ডেস্কঃ

ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। মার্কিন পপ তারকা রিহানার বিতর্কিত টুইটের পর থেকেই ভারতকে ভাঙার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন বলিউডের ‘কুইন’।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) একটি টেলিভশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে হাজির হন ‘মণিকর্ণিকা’ অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ‘বুদ্ধি করে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চেষ্টা চলছে দেশকে টুকরো টুকরো করে ‘ভেঙে’ দেওয়ার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সময় থেকে এ পর্যন্ত, ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত চক্রান্ত করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে চক্রান্ত করেই এই দেশকে ‘ভাঙার’ চেষ্টা চলছে। ’কঙ্গনার এমন দাবির পক্ষে-বিপক্ষে নেটদুনিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।  

এর আগে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে কৃষক আন্দোলনের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে রিহানা লেখেন, ‘কেন আমরা এই নিয়ে কথা বলছি না?’ বিক্ষোভস্থলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের খবরটিও জুড়ে দেন রিহানা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। এই পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই ভারত ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে ভারতে কৃষক বিক্ষোভের খবর। বহু মানুষ সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে সরব হন।

রিহানার মতোই কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খুললেন আলোচিত পরিবেশ-অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তিনিও কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেন টুইটারে। এ নিয়েও ব্যাপক তোলপাড় হয়। একইসঙ্গে টুইটারে ভারতের কৃষিবিল বিরোধিতায় বসা নারীদের ছবি পোস্ট করে একটি বিস্ফোরক ক্যাপশন জুড়ে দেন সাবেক পর্ন অভিনেত্রী মিয়া খলিফা। তার মতে, ভারতের রাজধানীতে ২৬ জানুয়ারি যা ঘটেছে তা মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। তিনি লেখেন, ‘কী ঘটছে?  এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? ওরা নয়া দিল্লিতে ইন্টারনেট পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছে। ’

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড়ের প্রেক্ষিতে একে একে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন বলিউড তারকারা। তাপসী পান্নু, স্বরা ভাস্করসহ অনেকেই বাকস্বাধীনতার দাবিতে এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তবে এর বিরোধিতা করেছেন করণ জোহর, সুনিল শেঠি, অক্ষয় কুমার, শচীন টেন্ডুলকার, লতা মঙ্গেশকর, সৌরভ গাঙ্গুলিসহ প্রথম সারির বহু তারকা। তাদের দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অযাচিত হস্তক্ষেপ অবাঞ্ছিত। ভারত নিজদেশের সমস্যা সমাধান করতে সমর্থ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

ভারতকে ভাঙার চক্রান্ত চলছে, কঙ্গনার দাবিতে তোলপাড়

আপডেট সময় ১০:৫৪:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিনোদন ডেস্কঃ

ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। মার্কিন পপ তারকা রিহানার বিতর্কিত টুইটের পর থেকেই ভারতকে ভাঙার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন বলিউডের ‘কুইন’।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) একটি টেলিভশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে হাজির হন ‘মণিকর্ণিকা’ অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ‘বুদ্ধি করে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চেষ্টা চলছে দেশকে টুকরো টুকরো করে ‘ভেঙে’ দেওয়ার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সময় থেকে এ পর্যন্ত, ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত চক্রান্ত করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে চক্রান্ত করেই এই দেশকে ‘ভাঙার’ চেষ্টা চলছে। ’কঙ্গনার এমন দাবির পক্ষে-বিপক্ষে নেটদুনিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।  

এর আগে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে কৃষক আন্দোলনের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে রিহানা লেখেন, ‘কেন আমরা এই নিয়ে কথা বলছি না?’ বিক্ষোভস্থলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের খবরটিও জুড়ে দেন রিহানা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। এই পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই ভারত ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে ভারতে কৃষক বিক্ষোভের খবর। বহু মানুষ সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে সরব হন।

রিহানার মতোই কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খুললেন আলোচিত পরিবেশ-অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তিনিও কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেন টুইটারে। এ নিয়েও ব্যাপক তোলপাড় হয়। একইসঙ্গে টুইটারে ভারতের কৃষিবিল বিরোধিতায় বসা নারীদের ছবি পোস্ট করে একটি বিস্ফোরক ক্যাপশন জুড়ে দেন সাবেক পর্ন অভিনেত্রী মিয়া খলিফা। তার মতে, ভারতের রাজধানীতে ২৬ জানুয়ারি যা ঘটেছে তা মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। তিনি লেখেন, ‘কী ঘটছে?  এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? ওরা নয়া দিল্লিতে ইন্টারনেট পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছে। ’

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড়ের প্রেক্ষিতে একে একে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন বলিউড তারকারা। তাপসী পান্নু, স্বরা ভাস্করসহ অনেকেই বাকস্বাধীনতার দাবিতে এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তবে এর বিরোধিতা করেছেন করণ জোহর, সুনিল শেঠি, অক্ষয় কুমার, শচীন টেন্ডুলকার, লতা মঙ্গেশকর, সৌরভ গাঙ্গুলিসহ প্রথম সারির বহু তারকা। তাদের দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অযাচিত হস্তক্ষেপ অবাঞ্ছিত। ভারত নিজদেশের সমস্যা সমাধান করতে সমর্থ।