ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা ব্যানার্জি। আজ বুধবার সকালে তিনি বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ করেন। মমতাকে শপথ পড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এর আগে গত সোমবার তাকে তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় নেত্রী নির্বাচিত করা হয়। সেদিন রাতেই রাজ্যভবনে গিয়ে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই নির্ধারিত হয় বুধবার শপথ নেবেন মমতা। গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দেন মমতা। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের আগের প্রথা মেনেই এই পদত্যাগ করেন তিনি। গভর্নর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেন।

No description available.

মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের পর গভর্নর জগদীপ ধনখড় এক টুইটার বার্তায় জানান, বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে শপথ নেবেন মমতা ব্যানার্জি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন গভর্নর জগদীপ ধনখড়। মমতার দলের জয়ী এমএলএরা শপথ নেবেন আগামীকাল। মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিতে পারেন ৯ মে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুত শপথের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। এছাড়া সম্পূর্ণ অনাড়ম্বরভাবে শপথ নেওয়া হবে বলেও এর আগে ঘোষণা করেন মমতা।

প্রসঙ্গত, মমতা ব্যানার্জি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এর পরও মমতাই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসন থেকে উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হলেই হবে। ভারতে নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী শপথগ্রহণের ছয় মাস পর্যন্ত বিধানসভা বা লোকসভার সদস্য না হয়েও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে ঐ ছয় মাসের মধ্যে তাকে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা এবং ভারতের সরকার গঠনের জন্য লোকসভা বা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছিল, তখনো মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের এমএলএ ছিলেন না। পরে উপনির্বাচনে জেতেন তিনি। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ যখন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখনো তিনি উত্তর প্রদেশের এমএলএ ছিলেন না। তিনিও পরে উপনির্বাচনে জেতেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

আপডেট সময় ০৬:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা ব্যানার্জি। আজ বুধবার সকালে তিনি বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ করেন। মমতাকে শপথ পড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এর আগে গত সোমবার তাকে তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় নেত্রী নির্বাচিত করা হয়। সেদিন রাতেই রাজ্যভবনে গিয়ে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই নির্ধারিত হয় বুধবার শপথ নেবেন মমতা। গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দেন মমতা। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের আগের প্রথা মেনেই এই পদত্যাগ করেন তিনি। গভর্নর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেন।

No description available.

মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের পর গভর্নর জগদীপ ধনখড় এক টুইটার বার্তায় জানান, বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে শপথ নেবেন মমতা ব্যানার্জি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন গভর্নর জগদীপ ধনখড়। মমতার দলের জয়ী এমএলএরা শপথ নেবেন আগামীকাল। মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিতে পারেন ৯ মে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুত শপথের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। এছাড়া সম্পূর্ণ অনাড়ম্বরভাবে শপথ নেওয়া হবে বলেও এর আগে ঘোষণা করেন মমতা।

প্রসঙ্গত, মমতা ব্যানার্জি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এর পরও মমতাই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসন থেকে উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হলেই হবে। ভারতে নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী শপথগ্রহণের ছয় মাস পর্যন্ত বিধানসভা বা লোকসভার সদস্য না হয়েও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে ঐ ছয় মাসের মধ্যে তাকে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা এবং ভারতের সরকার গঠনের জন্য লোকসভা বা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছিল, তখনো মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের এমএলএ ছিলেন না। পরে উপনির্বাচনে জেতেন তিনি। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ যখন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখনো তিনি উত্তর প্রদেশের এমএলএ ছিলেন না। তিনিও পরে উপনির্বাচনে জেতেন।