ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজানের ২৬টি দিন। আর ২৬ রমজান দিবাগত রাতে মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। সে হিসেবেই রোববার (৯ মে) পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাত। সন্ধ্যায় শুরু হবে শবে কদরের রজনী।
পবিত্র কোরআনে শবে কদরের রাতকে মহিমান্বিত বলা হয়েছে। এ রাতের ইবাদতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে ঘোষণা করে নাজিল হয়েছে সুরা ‘আল-কদর’।
পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে কদরের রাতে। ‘আল-কদর’ সুরায় বলা হয়েছে, ‘আমি একে নাজিল করেছি শবে কদরে’।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের মধ্যে যেকোনো বেজোড় রাত শবে কদর। হযরত উবাদাহ ইবনে সামেদ (রা.) বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাত রয়েছে রমজানের শেষ ১০ রাতের মধ্যে। ‘ তবে বেশিরভাগ আলেম-ওলামার অভিমত, ২৬ রমজানের দিবাগত রাত, অর্থাৎ ২৭ রমজানে পবিত্র শবে কদর।
কদরের রাতকে ক্ষমা লাভের রাত হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। সুরা আল-কদরে বলা হয়েছে, এ রাতে জিবরাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীতে নেমে আসেন। শান্তির সব দুয়ার উন্মুক্ত থাকে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। শেষ আয়াতে বলা হয়, ‘এই নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত থাকে। ‘
শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে দেশবাসী তথা বিশ্বের সব মুসলমানের কল্যাণ কামনা করেছেন।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও বিশেষ ইবাদতের মধ্য দিয়ে কদরের রাত অতিবাহিত করবেন। রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।