ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে সড়ক ও জনপদের উচ্ছেদ করা জমিতে ফের দোকান ঘর নির্মাণ

মো: সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে সরকারি যায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ব্যাবসায়ি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের পর স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে পূর্বের দখলদারদের অনেকেই উচ্ছেদ করা অংশে টিনের ঘর নির্মাণ ও কার্পাল দিয়ে ও ছাউনি বানিয়ে ফের দখল করে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন। যার ফলে উচ্ছেদ হওয়া সম্পূর্ণ জায়গাটুকো ফের দখলের শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ফুটপাতমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। এর অংশ হিসেবে গত ৯ মার্চ উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এবং সড়কের পাশে গড়ে উঠা প্রায় ৩শতাধীক দোকান ঘর উচ্ছেদ করে স্থানীয় প্রশাসন ও কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। উচ্ছেদের পর যানজট কিছুটা নিরসন হলেও বর্তমানে এ জায়গা আবার দখল করার ফলে যানজট আগের রূপে ফিরে আসতে শুরু করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে উচ্ছেদ করা দোকানগুলোর বাশ, কাঠ, টিনসহ বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। কোন কোন জায়গায় এসব উচ্ছেদকৃত স্থাপনার উপর কার্পাল দিয়ে ছাউনি বানিয়ে আবার কেউ টিনের চালা তৈরি করে তার নিচে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে এ বাজারেরর সততা প্লাস্টিক পট্টিতে দুটি দোকান নির্মান কাজ সম্পূর্ন করে আরো দুটি দোকান নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন উপজেলার কুলুবাড়ি গ্রামের তাজুল ইসলাম, গুঞ্জুর গ্রামের খালেক মিয়া, ধামঘর গ্রামের তাজুল ইসলাম ও ব্যবসায়ি রুহুল আমিন। যার ফলে বাকি দখলদাররাও দোকান নির্মান করতে সক্রিয় হয়ে ওঠছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা এ দোকানগুলো নির্মান করছেন তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় এ দোকান নির্মানের কাজগুলো করছেন। দখলদারদের কেউ কেউ মৌখিকভাবে এসব প্রবাবশালীদের কাছ থেকে এ দোকানের জায়গাগুলো কিনেছেন।

দখলদার ধামঘর গ্রামের তাজুল ইসলামের সাথে দোকান দখলের ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেছেন আমরা আমাদের দোকনগুলো একটু একটু করে নির্মান কাজ শেষ করে ফেলতে তাই আমরা দোকানগুলো নির্মান করছি।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, এটা সড়ক ও জনপথের জায়গা আমি অনুমতি দিব কিভাবে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। যারা এভাবে সরকারি জায়গা দখল করছেন এটা অন্যায় করছেন। দখলদারদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রশাসনকে অবগত করব।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লা জেলা উপসহকারি প্রকৌশলী মো: হুমায়ুন কবির বলেন, যারা এ জায়াগাগুলো ফের দখল করছেন তাদেরকে প্রথমে মৌখিকভাবে বাধা দিব, না মানলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পুনরায় দোকানগুলো আবার উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা করা হবে।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, আমি লোকজন পাঠাব ওই জায়গা পরিদর্শন করতে। যারা এ যায়গাগুলো দখল করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে সড়ক ও জনপদের উচ্ছেদ করা জমিতে ফের দোকান ঘর নির্মাণ

আপডেট সময় ১১:৪৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

মো: সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে সরকারি যায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ব্যাবসায়ি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের পর স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে পূর্বের দখলদারদের অনেকেই উচ্ছেদ করা অংশে টিনের ঘর নির্মাণ ও কার্পাল দিয়ে ও ছাউনি বানিয়ে ফের দখল করে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন। যার ফলে উচ্ছেদ হওয়া সম্পূর্ণ জায়গাটুকো ফের দখলের শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ফুটপাতমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। এর অংশ হিসেবে গত ৯ মার্চ উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এবং সড়কের পাশে গড়ে উঠা প্রায় ৩শতাধীক দোকান ঘর উচ্ছেদ করে স্থানীয় প্রশাসন ও কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। উচ্ছেদের পর যানজট কিছুটা নিরসন হলেও বর্তমানে এ জায়গা আবার দখল করার ফলে যানজট আগের রূপে ফিরে আসতে শুরু করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে উচ্ছেদ করা দোকানগুলোর বাশ, কাঠ, টিনসহ বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। কোন কোন জায়গায় এসব উচ্ছেদকৃত স্থাপনার উপর কার্পাল দিয়ে ছাউনি বানিয়ে আবার কেউ টিনের চালা তৈরি করে তার নিচে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে এ বাজারেরর সততা প্লাস্টিক পট্টিতে দুটি দোকান নির্মান কাজ সম্পূর্ন করে আরো দুটি দোকান নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন উপজেলার কুলুবাড়ি গ্রামের তাজুল ইসলাম, গুঞ্জুর গ্রামের খালেক মিয়া, ধামঘর গ্রামের তাজুল ইসলাম ও ব্যবসায়ি রুহুল আমিন। যার ফলে বাকি দখলদাররাও দোকান নির্মান করতে সক্রিয় হয়ে ওঠছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা এ দোকানগুলো নির্মান করছেন তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় এ দোকান নির্মানের কাজগুলো করছেন। দখলদারদের কেউ কেউ মৌখিকভাবে এসব প্রবাবশালীদের কাছ থেকে এ দোকানের জায়গাগুলো কিনেছেন।

দখলদার ধামঘর গ্রামের তাজুল ইসলামের সাথে দোকান দখলের ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেছেন আমরা আমাদের দোকনগুলো একটু একটু করে নির্মান কাজ শেষ করে ফেলতে তাই আমরা দোকানগুলো নির্মান করছি।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, এটা সড়ক ও জনপথের জায়গা আমি অনুমতি দিব কিভাবে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। যারা এভাবে সরকারি জায়গা দখল করছেন এটা অন্যায় করছেন। দখলদারদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রশাসনকে অবগত করব।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লা জেলা উপসহকারি প্রকৌশলী মো: হুমায়ুন কবির বলেন, যারা এ জায়াগাগুলো ফের দখল করছেন তাদেরকে প্রথমে মৌখিকভাবে বাধা দিব, না মানলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পুনরায় দোকানগুলো আবার উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা করা হবে।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, আমি লোকজন পাঠাব ওই জায়গা পরিদর্শন করতে। যারা এ যায়গাগুলো দখল করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।